‘ভুল’ অস্ত্রোপচারে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, ক্লিনিক সিলগালা
Published: 15th, June 2025 GMT
নীলফামারীর ডোমারে ভুল অস্ত্রোপচারে বেবী আক্তার নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে নবজাতকটি সুস্থ আছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার বিকেলে ক্লিনিক সিলগালা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
বেবী আক্তার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা দরগাপাড়া এলাকার নুর আলমের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বেবী আক্তারের প্রসব বেদনা হলে শনিবার বিকেলে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় জনতা ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসক রিজওয়ানা ইয়াসমিন বিভিন্ন টেস্ট শেষে দ্রুত অস্ত্রোপচারে পরামর্শ দেন। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন বেবী আক্তার। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর থেকেই তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। প্রায় তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। এমনকি তার শ্বাসকষ্ট হলেও অক্সিজেনও দেওয়া হয়নি। একপর্যায়ে বেবী আক্তারের অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে তাকে রংপুর মেডিকেলে নেওয়া হয়। আজ রোববার সকালে সেখানে তার মৃত্যু হয়। খবরটি জানাজানি হলে স্বজনরা ক্লিনিকের সামনে বিক্ষোভ ও বিচার দাবি করেন। এ সময় সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ক্লিনিকের চিকিৎসক নাজমুস সাকিব, নার্স সুমনা আক্তার ও সাবিয়া আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত বেবি আক্তারের স্বামী নুর আলম বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শায়লা সাঈদ তন্বী অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ক্লিনিক সিলগালা করেন। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী বলেন, এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ না পেলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মারফত জানার পর তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্লিনিকটি এখনও লাইসেন্স পায়নি বলেও তিনি জানান।
ইউএনও শায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, ভুল অস্ত্রোপচারের অভিযোগে জনতা ক্লিনিককে সিলগালা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রস ত র ম ত য কর মকর ত উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ভাঙ্গায় চার গ্রামের সংঘর্ষে আহত ৬০
জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় চার গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপীনাথপুর গ্রামের সাইমন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বরের মধ্যে জমি নিয়ে গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এরই জেরে রবিবার সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। বৈঠকে বসা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে বিএনপি দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ
গোপীনাথপুর গ্রামের দুটি পক্ষের সঙ্গে পরবর্তীতে ছোট হামেরদী, খাড়া কান্দি ও বাইশা খালি গ্রামের লোকজনও সংঘর্ষে যোগ দেন। ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। সংঘর্ষকারীরা ঢাল, শরকি, কালি, কাতরা, টেটার মতো অস্ত্র ব্যবহার করেন। ইট ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে অন্তত ৬০ জন আহত হন। গুরুতরদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ হোসেন বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এবং চার গ্রামের লোকজন রণক্ষেত্র তৈরি করায় জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছিল। ক্ষতির পরিমাণ পরে জানাতে পারব।”
ঢাকা/তামিম/মাসুদ