বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ইবির শিক্ষার্থী নিহত
Published: 16th, June 2025 GMT
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বৃত্তিপাড়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে রাশেদুল ইসলাম (২৭) নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৭টার সময় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বিত্তিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাশেদুল ইসলাম কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদালয়ের (ইবি) আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতক ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। কিছুদিন আগে তিনি স্নাতক পরীক্ষা দিয়েছেন। তার বাড়ি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায়।
রাশেদুলের সহপাঠী তানভির মাহমুদ জানান, রাশেদুল রাতের ট্রেনে জয়পুরহাট থেকে পোড়াদহ পর্যন্ত আসে। পরবর্তীতে সেখান থেকে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর বাস কাউন্টারে যায়। পরে সেখান থেকে সকালে শ্যামলী পরিবহনে উঠে ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিলো। সে বাসের ইঞ্জিন কাভারে বসেছিলো। পরবর্তীতে বিত্তিপাড়া নামক এলাকায় বাসটির সাথে একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। রাশেদুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়ার চৌড়হাস হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আল মামুন জানান, সকালে কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহগামী একটি বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এসময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষার্থীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
রাশেদুলের মৃত্যুতে তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের পরিচালক সাহেদ হাসান স্বাক্ষরিত এক শোক বার্তায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ স ঘর ষ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।