রাজধানীর শিশু একাডেমি-সংলগ্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফটকের কাছে আজ সোমবার সকালে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

ককটেল বিস্ফোরণের এ তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর। তিনি বলেন, আজ ভোর ৫টা ২৫ মিনিটের দিকে ট্রাইব্যুনালের সামনে পাকা রাস্তার ওপর বিস্ফোরণ হয়েছে। আজকে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। আরেকটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

খালিদ মনসুর বলেন, আজকের বিস্ফোরণের ঘটনায় আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে এখন পর্যন্ত এর সঙ্গে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার আজ শুনানি হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। তাঁর সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও এই মামলার আসামি। এই মামলার শুনানি আজ দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমন একটি মামলার শুনানির হওয়ার আগে সকালবেলা ট্রাইব্যুনালের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ঘটনায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও মামুনের বিরুদ্ধে হওয়া এই মামলার এর আগে শুনানি হয়েছিল ১ জুন। সে দিনও একই জায়গায় (শিশু একাডেমিসংলগ্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফটকের সামনে) ‘ককটেলসদৃশ পটকা’ বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছিল শাহবাগ থানা-পুলিশ।

সেই ঘটনা সম্পর্কে শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, এর আগের বিস্ফোরণের ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। সে ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে চেষ্টা চলমান আছে।

বিস্ফোরণ নিয়ে চিফ প্রসিকিউটর যা বললেন

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হয় এই মামলার শুনানি শেষে আজ দুপুরে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, শেখ হাসিনার মামলার শুনানির দিন ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের ঘটনা বিচার বাধাগ্রস্ত করার কোনো চেষ্টা কি না?

জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এগুলো আমলে নিচ্ছি না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এগুলো ডিল করবে। বাংলাদেশের যে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে তার বিচারপ্রক্রিয়া স্মুথলি অগ্রসর হতে থাকবে। আর কেউ যদি এটাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে, কেউ যদি আইন অমান্যকারী কোনো কাজ করে, সে ব্যাপারে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ককট ল ব স ফ র

এছাড়াও পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”

যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।

পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়,  “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”

হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।

হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ