নগরভবনে সভা করলেন ইশরাক, নামের সঙ্গে ‘মাননীয় মেয়র’
Published: 16th, June 2025 GMT
শপথ গ্রহণ না করেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে সংবর্ধনা পেয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ঈদের ছুটির পর আজ সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তাকে সংবর্ধনা দেন করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে নগর ভবনের অডিটোরিয়ামে উপস্থিত হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পক্ষ থেকে করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইশরাককে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন বিএনপি নেতা ইশরাক। নগরভবনে এটিই তার প্রথম সভা। সভার ব্যানারে তার নামের শেষে ‘মাননীয় মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন’ লেখা ছিল। পরিচ্ছন্ন ঢাকা ও নাগরিক সেবা নিশ্চিতকল্পে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। সভায় ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে সম্মোধন করেন কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে ইশরাকের শপথের দাবিতে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। তাদের কর্মসূচির কারণে সকাল থেকে নগর ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে। ভেতরে বিএনপির নেতাকর্মীরা কয়েক ভাগে ভাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইশর ক হ স ন ড এসস স নগর ভবন র ব এনপ ইশর ক
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল