টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি মুক্ত খবর পত্রিকার সাংবাদিক শামসুল আলমের ছোট ভাই।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে মির্জাপুর উপজেলার বাশতৈল ইউনিয়নের বংশিনগর হলিদ্রাচালা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই এবং তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত রফিকুল ইসলাম বংশিনগর হলিদ্রাচালা গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন—একই গ্রামের মৃত কাবেল উদ্দিনের ছেলে আয়নাল মিয়া (৬০) এবং তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪৫)।

পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, সোমবার সকালে রফিকুল ইসলাম বাড়ির পাশের জমিতে কিছু গাছের চারা লাগাতে যান। এ সময় চাচাতো ভাই আয়নাল এবং তার স্ত্রী সেলিনা তাকে বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে কিল-ঘুষিতে রফিকুল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। রফিকুলের চিৎকারে তার ভাই শামসুল আলম এগিয়ে গেলে তাকেও কিল-ঘুষি মারেন আয়নাল। পরে রফিকুলকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে রফিকুলের লাশ উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে আয়নাল ও সেলিনাকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই শামসুল আলম বাদী হয়ে চাচাতো ভাই আয়নাল এবং তার স্ত্রী সেলিনার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেছেন, ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রফিকুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/কাওছার/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম আয়ন ল

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ