ঝালকাঠিতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জেলার সদর হাসপাতালে এখন পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ২০ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে জুন মাসেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল পর্যন্ত দুজন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে। 

রোগীরা জানিয়েছেন, জ্বরে আক্রান্ত হলে তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এখানে পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় এবং হাসপাতালে ভর্তি হন। 

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সালমা বেগম বলেছেন, “আমি তিন দিন আগে জ্বরে রোগে আক্রান্ত হই। এখানে এসে জানতে পারি যে, আমার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন মোটামুটি সুস্থ আছি।”

আরো পড়ুন:

ডেঙ্গুতে তিন জনের মৃত্যু
কুমিল্লার দাউদকান্দির ২ ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা 

এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে থাকবে মেডিকেল টিম

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সিনিয়র কন্সালট্যান্ট ডা.

আবুয়াল হাসান বলেছেন, প্রতিবছরই বর্ষ মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। এ বছরও বেড়েছে। তবে, আক্রান্তদের প্রায় সবাই সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। বর্তমানে দুজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

ঢাকা/অলোক/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ বর ঝ লক ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

কার্যালয় ভবনে হামলা: অক্ষত আছেন রেডিও তেহরানের ৮ বাংলাদেশি

ইরানের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং (আইআরআইবি) কার্যালয় ভবনে গতকাল সোমবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই ভবনে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিও তেহরানেরও দপ্তর রয়েছে। সেখানে বাংলা বিভাগে কাজ করেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি। ওই হামলায় তিনজন নিহত ও কয়েকজন আহত হলেও ঘটনার সময় উপস্থিত বাংলাদেশের আটজন নাগরিক অক্ষত রয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী এ তথ্য জানান। ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা বিষয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব জানান, আইআরআইবি কার্যালয় ভবনে হামলার সময় ইরানের রেডিও (রেডিও তেহরান) দপ্তরে আট বাংলাদেশি ছিলেন। তবে সৌভাগ্যবশত তাঁদের কোনো ক্ষতি হয়নি। তাঁরা ভালো আছেন। তাঁরা রেডিওর বাংলা বিভাগে কাজ করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সব মিলিয়ে এখন দুই হাজারের বেশি বাংলাদেশি ইরানে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসে ২ জন কর্মকর্তা, ৫ জন কর্মচারী এবং তাঁদের পরিবারসহ প্রায় ৪০ জন রয়েছেন। রেডিও তেহরানের ৮ জন বাংলাদেশি ও তাঁদের পরিবারসহ রয়েছেন ২৭ জন। তেহরানে শিক্ষার্থী রয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন। পেশাজীবী আছেন প্রায় ১০ জন। সব মিলিয়ে তেহরানে ৪০০ বাংলাদেশি রয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানের অন্যান্য জায়গায় প্রায় ৬০০ বাংলাদেশি আছেন, তাঁরা ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে সে দেশে বসবাস করছেন। সেখানে বিয়ে করে তাঁরা স্থায়ী হয়েছেন। প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন। এর বাইরে আরও প্রায় ৮০০ বাংলাদেশি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে ইরানে বিভিন্ন সেক্টরে চাকরি করছেন। এ ছাড়া মানব পাচারের ট্রানজিট দেশ হিসেবে ইরানে সব সময় ৩০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশি অবস্থান করেন অন্য দেশে পাচার হওয়ার অপেক্ষায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ