নগদের টাকা ছিনতাইয়ে মূল পরিকল্পনাকারী প্রাইভেটকারের চালক: পুলিশ
Published: 18th, June 2025 GMT
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার জামতলা এলাকায় নগদের এক ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ৩২ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা। এ ঘটনার মূল পরিকল্পনায় ছিলেন প্রাইভেটকারের চালক মো. ইউসুফ আলী ওরফে সাজু।
বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী।
আরো পড়ুন: যশোরে নগদের ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাই
আরো পড়ুন:
ভেড়ামারায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ–গুলি, আহত ৩
সৈয়দপুরে বাসের ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- যশোর শহরের পোস্ট অফিস পাড়া এলাকার মৃত খোরশেদ আলম মির্জার ছেলে মো.
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, গতকাল মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে নগদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ডিস্ট্রিবিউটর রবিউল ইসলাম যশোর শহর থেকে একটি প্রাইভেটকারে মণিরামপুরে যাচ্ছিলেন। জামতলা এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে মোটরসাইকেলযোগে আসা ছিনতাইকারীরা তার গাড়ির গতিরোধ করে। চাপাতি হাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে গাড়ির কাচ ভেঙে ভেতরে থাকা ৫৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।
ঘটনার পরপরই রবিউল ইসলাম ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ দ্রুত অভিযান শুরু করে।
যশোরের পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ছিনতাইকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশের একাধিক টিম। তারা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে ঝিকরগাছা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাগর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরো ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনায় ছিল প্রাইভেটকারের চালক মো. ইউসুফ আলী ওরফে সাজু। তার সহযোগিতায় বাকিরা সংঘবদ্ধভাবে ঘটনাটি ঘটায়। অভিযানে গ্রেপ্তার ইমদাদুল গাজীর হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং সুজন ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জব্দ করা হয়েছে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুইটি চাপাতি, একটি টাকা বহনকারী ব্যাগ ও একটি মোটরসাইকেল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার, মনিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমদাদুল হক, ডিবির ওসি মঞ্জুরুল হক ভুঞা, মনিরামপুর থানার ওসি বাবলুর রহমান খান
ঢাকা/রিটন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ নত ই ল ইসল ম ছ নত ই
এছাড়াও পড়ুন:
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচন সামনে রেখে ৭ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বাদে অন্য কোনো নির্বাচনে নিউইয়র্কে এটাই সর্বোচ্চ আগাম ভোট পড়ার ঘটনা। আগামীকাল ৪ নভেম্বর নিউইয়র্ক নগরে মেয়র পদে ভোট গ্রহণ হতে যাচ্ছে।
গতকাল রোববার ছিল আগাম ভোট দেওয়ার শেষ দিন। এদিন প্রায় ১ লাখ ৫১ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। নগরের নির্বাচন কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, আগাম ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে এটি এক দিনে সর্বোচ্চ ভোট পড়ার ঘটনা। তা ছাড়া এদিন ৩৫ বছরের কম বয়সী ভোটারদের উপস্থিতিও বেশি ছিল। এর মধ্য দিয়ে আগাম ভোট দেওয়া ভোটারদের গড় বয়সও কমে এসেছে। গড় বয়স ৫০ বছরে নেমে এসেছে।
আগের সপ্তাহের প্রথম দিকে কম বয়সী ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল। ওই সপ্তাহের রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৮০ হাজার নিউইয়র্কবাসী ভোট দিয়েছিলেন। তবে গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত এই সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ৩৫ বছরের কম বয়সী ১ লাখের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন, যার মধ্যে শুধু গতকাল রোববারই এ বয়সী ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজারের বেশি।
আরও পড়ুনমামদানিকে বারাক ওবামার ফোন, করলেন নির্বাচনী প্রচারের প্রশংসা০২ নভেম্বর ২০২৫নিউইয়র্কে চলতি বছর মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত মেয়র নির্বাচনের তুলনায় চারগুণের বেশি। এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমো ও কার্টিস স্লিওয়ার চেয়ে এগিয়ে আছেন।
নিউইয়র্কে চলতি বছর মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত মেয়র নির্বাচনের তুলনায় চারগুণের বেশি। এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমো ও কার্টিস স্লিওয়ার চেয়ে এগিয়ে আছেন।নিউইয়র্কে সর্বপ্রথম মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয় ২০২১ সালে। ওই নির্বাচনে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। তবে ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যায়নি। ওই নির্বাচনে এরিক অ্যাডামস তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্লিওয়াকে দ্বিগুণের বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন।
অবশ্য চলতি বছর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়া মানুষের সংখ্যা গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগাম ভোটকে ছাড়াতে পারেনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১০ লাখ মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তুলনায় মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়া মানুষের বয়স তুলনামূলক কম। এটা অবাক করা বিষয়। কারণ, সাধারণত যারা আগাম ভোট দেন তাঁদের গড় বয়স মোট নিবন্ধিতদের গড় বয়সের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনব্যালটে মামদানি, অদৃশ্য ‘প্রার্থী’ ট্রাম্প১ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের তুলনায়ও অনেক বেশি। ওই সময় নিউইয়র্কে প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। সে সময় আগাম ভোট দেওয়া ভোটারের অধিকাংশের বয়স ছিল ৫৫ বছরের বেশি।
চলতি বছরের মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের তুলনায়ও অনেক বেশি। ওই সময় নিউইয়র্কে প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। সে সময় আগাম ভোট দেওয়া ভোটারদের অধিকাংশের বয়স ছিল ৫৫ বছরের বেশি।গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়া মানুষের গড় বয়স ছিল ৫১ বছর। তবে এবার মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটারদের গড় বয়স আরও কমে ৫০ বছরে নেমেছে।