ক্লাব বিশ্বকাপে রাতে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ
Published: 18th, June 2025 GMT
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে আজ বুধবার রাতে (বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়) প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে ইউরোপের রাজা রিয়াল মাদ্রিদ। হার্ড রক স্টেডিয়ামে ‘এইচ’ গ্রুপের প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে সৌদি আরবের শক্তিশালী ক্লাব আল হিলাল।
তবে রিয়ালের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে কিলিয়ান এমবাপ্পের অনিশ্চয়তা। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় মঙ্গলবার দলের অনুশীলনে অংশ নিতে পারেননি ফরাসি সুপারস্টার। দলের প্রধান কোচ জাবি আলোনসো জানিয়েছেন, এমবাপ্পেকে নিয়ে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আলোনসো বলেন, “সকালে এমবাপ্পে কিছুটা ভালো বোধ করছিল। কিন্তু তা খেলায় নামার জন্য যথেষ্ট নয়। তার শরীরে এখনও প্রচণ্ড তাপ। আমরা দেখতে চাই সে নিজেকে কেমন ফিল করে। সিদ্ধান্তটা নিতে হবে একদম ম্যাচের আগ মুহূর্তে।”
আরো পড়ুন:
ম্যানসিটির নতুন অধিনায়কের নাম জানালেন গার্দিওলা
ইন্টার ও বরুসিয়ার পয়েন্ট ভাগাভাগি
গত মৌসুমে রিয়ালের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৩ গোল করেছিলেন এমবাপ্পে। তাই তার না থাকা নিঃসন্দেহে মাদ্রিদের আক্রমণভাগে বড় প্রভাব ফেলবে। তাছাড়া দলে আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের চোট সমস্যা দলের শক্তি-সামর্থ্যকে সীমিত করে দিচ্ছে।
জার্মান ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগার, তরুণ মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, অভিজ্ঞ রাইটব্যাক দানি কারভাহাল এবং ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এদের মিলিতাও— এদের কেউই হয়তো আজকের ম্যাচে থাকবেন না।
আলোনসো আরও বলেছেন, “রুডিগার খুবই পরিশ্রম করছে। রিকভারি ভালো হলেও তাকে নিয়ে নিশ্চিত নই। কামাভিঙ্গার উন্নতি প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত হচ্ছে। তবে কারভাহাল ও মিলিতাওর এখনো সময় লাগবে।”
অন্যদিকে, আল হিলাল আত্মবিশ্বাসী। সৌদি প্রো লিগের এই ক্লাবটি ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে তারা বড় দলের সামনে দাঁড়ানোর সাহস ও সামর্থ্য রাখে। শক্তিশালী স্কোয়াডে রয়েছে বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়, যারা রিয়ালের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে চমক দেখাতে চাইবে।
আজকের ম্যাচটি শুধুমাত্র পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান নয়, বরং রিয়াল মাদ্রিদের জন্য নিজেদের শক্তি ও গভীর স্কোয়াডের পরীক্ষা। অন্যদিকে আল হিলালের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে নিজেদের প্রমাণ করার।
সব মিলিয়ে, হার্ড রক স্টেডিয়ামে আজ রাতের ম্যাচে উত্তেজনা আর অনিশ্চয়তার মিশেল থাকবে নিশ্চিত। এমবাপ্পে খেলেন কি না, রিয়াল সামলাতে পারে কি না তার অনুপস্থিতি—সেই উত্তরের অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল এমব প প র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করবে মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ
মালয়েশিয়ায় সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ তদন্তে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া।
গতকাল শুক্রবার (১১ জুলাই) কুয়ালালামপুরে ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (এআরএফ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ তথ্য জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান দৃঢ় এবং এ বিষয়ে তথ্য ও তদন্তের ফলাফল বিনিময়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও তথ্যপ্রাপ্তির আশ্বাস দেন।
আরো পড়ুন:
সন্ত্রাসে জড়িত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে মালয়েশিয়া: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মাহাথিরকে শততম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের চলমান সংস্কার, রোহিঙ্গা সংকট ও এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ. ই. মি. উইনস্টন পিটার্স, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ. ই. অন. বিজিথা হেরাথ এবং কোরিয়ার ভাইস মিনিস্টার ও প্রধান প্রতিনিধি মি. পার্ক ইউঞ্জুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকগুলোতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ এআরএফের সদস্য হয়। এ ফোরামটি নব্বই দশকের শুরুতে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ২৭টি দেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধির লক্ষ্যে গঠিত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ এআরএফের দুটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্র — ‘কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম’ এবং ‘ডিজাস্টার রিলিফ’ — এর সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। আগামী এআরএফ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ২০২৬ সালে ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত হবে।
দুপুরে এআরএফ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে জাতীয় বক্তব্য প্রদান করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি রোহিঙ্গা সংকটের জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রেক্ষাপট গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আহ্বান জানান। এছাড়া, বাংলাদেশকে আসিয়ান সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে গ্রহণের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনার জন্য আসিয়ান সদস্যদের আহ্বান জানান তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এইচ. ই. মো. শামীম আহসান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. ফরহাদুল ইসলাম এবং সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ