পাবনার বেড়া উপজেলায় খেতে গরু যাওয়ায় মাকে মারধর ও ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের রামকান্তপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম আশিক মন্ডল (১৭)। তিনি রামকান্তপুর গ্রামের সন্তোষ মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেশী আরোফ মৃধার খেতে আশিকদের একটি গরু যায়। এর জেরে আশিকের মাকে মারধর করেন ওই প্রতিবেশী। সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে মাকে মারধরের বিষয়টি জানতে পেরে আরোফ মৃধার বাড়িতে যায় কিশোর আশিক। এসময় খেতে গরু যাওয়ায় ক্ষমা চায় আশিক। এর প্রেক্ষিতে আরোফ মৃধা ও তার স্বজনেরা আশিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। আশেপাশের লোকজন আশিককে উদ্ধার করে প্রথমে কাশিনাথপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরবর্তীতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন:

বাকেরগঞ্জে গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা

সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার আসামির ২০ বছর পর আত্মসমর্পণ 

আমিনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘‘খেতে গরু যাওয়াকে কেন্দ্র করে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে ছয় জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’’

এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আরোফ মৃধা পলাতক রয়েছেন। তাই তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা/শাহীন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আর ফ ম ধ ন হত র এ ঘটন ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

গোল ঠেকান, শিরোপা জেতান—তবু দোন্নারুম্মা, এদেরসনদের কদর কম কেন

আপনি গোলরক্ষক। তাহলে আপনার মতো দুর্ভাগা আর কে আছে!

কেন এমন বলা, সেটি বোঝার জন্য এবারের দলবদল মৌসুমে একটু চোখ বোলালেই হবে। এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদল আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে—বিশ্বসেরা গোলরক্ষক হলেও দলবদলের বাজারে খুব একটা কদর মেলে না। মাঠের অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের তুলনায় তাঁদের গুরুত্ব নেই বললেই চলে।

সবচেয়ে বড় উদাহরণ পিএসজির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পাশাপাশি ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন ও এসি মিলানের মাইক মাইনিয়ঁর কথাও বলা যায়। এ তিনজনই নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা ১০ গোলরক্ষকের মধ্যে পড়েন। অনেকের চোখে আবার সেরা পাঁচেই জায়গা তাঁদের। কিন্তু তাঁরা যদি ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ডার বা ডিফেন্ডার হতেন, তাহলে তাঁদের এজেন্টদের ফোন বেজেই চলত। আর তাঁদের ক্লাব চুক্তি নবায়নের জন্য পাগল হয়ে উঠত।

কিন্তু গোলকিপার হওয়ায় তাঁদের বাস্তবতা ভিন্ন। পিএসজি ইতিমধ্যেই লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে নিতে যাচ্ছে (যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি)। ম্যানচেস্টার সিটিও বার্নলির জেমস ট্রাফোর্ডকে এনেছে গোলরক্ষকদের জন্য ব্রিটিশ ট্রান্সফার ফি রেকর্ড গড়ে। দোন্নারুম্মার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের, এদেরসনের জন্য গালাতাসারাইয়ের, আর মাইনিয়ঁর জন্য চেলসির আগ্রহের কথা শোনা গেলেও কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা

সম্পর্কিত নিবন্ধ