দেশের ব্যবসায়ী–শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি, সহসভাপতি ও পরিচালক পদে এবার সরাসরি ভোট হবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ফেডারেশনের সাধারণ পরিষদের সদস্যরা ভোট দিয়ে ১জন করে সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি; ২ জন সহসভাপতি এবং ৩০ জন পরিচালক নির্বাচন করবেন।

এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন বোর্ড আজ বুধবার সংগঠনটির ২০২৫-২৭ সাল মেয়াদ পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের তফসিল প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, ২ জুলাইয়ের মধ্যে ফেডারেশনের সদস্যভুক্ত সব চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনকে এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ পরিষদের জন্য মনোনীত প্রতিনিধিদের তালিকা পাঠাতে হবে।

গত ৩ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মো.

আবদুর রাজ্জাককে প্রধান করে এফবিসিসিআইয়ের তিন সদস্যের নির্বাচন বোর্ড গঠন করা হয়। নির্বাচন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আবদুর রহিম খান।

নির্বাচনী তফসিলে বলা হয়েছে, বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ ও বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা ২০২৫ অনুসরণ করে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের আকার ৮০ থেকে ৪৬ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এই পর্ষদে একজন সভাপতি, একজন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও দুজন সহসভাপতি থাকবেন। গত নির্বাচন পর্যন্ত পর্ষদে সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির সঙ্গে ছয়জন সহসভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, ২০২৫-২৭ সাল মেয়াদে ৪৬ জনের পর্ষদে একজন সভাপতি, একজন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও দুজন সহসভাপতির বাইরে ৪২ জন পরিচালক থাকবেন। তাঁদের মধ্যে পণ্যভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন বা অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৫ জন করে ৩০ জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। বাকি ১২ জন হবেন মনোনীত পরিচালক। তাঁদের মধ্যে অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বার থেকে ৫ জন করে ১০ জন এবং নারী চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে ১ জন করে ২ জন আসবেন পর্ষদে।

সভাপতি পদের মনোনয়ন ফি ১২ লাখ টাকা
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে ভোটে অংশগ্রহণ করতে হলে একজন ব্যবসায়ীকে শুধু মনোনয়ন ফি বাবদ ১২ লাখ টাকা খরচ করতে হবে। জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদের বিপরীতে ১০ লাখ এবং সহসভাপতি পদের জন্য ৯ লাখ টাকা মনোনয়ন ফি দিতে হবে। আর পরিচালক পদের মনোনয়ন ফি ২ লাখ টাকা।
এদিকে এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ পরিষদের সদস্যদের প্রতি এককালীন দ্বিবার্ষিক নিবন্ধন ফি ২০ হাজার টাকা। ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৫ জন এবং ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৩ জন সাধারণ পরিষদের সদস্য হবেন। অন্যদিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত চেম্বার থেকে ৬ জন এবং ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৪ জন সাধারণ পরিষদের সদস্য হবেন।

কারা নির্বাচন করতে পারবেন
এখন থেকে এফবিসিসিআইর নির্বাহী কমিটি বা পর্ষদে টানা সর্বোচ্চ দুবার থাকা যাবে। তবে একবার বিরতি দিয়ে আবার নির্বাচন করা যাবে। এই নিয়ম ভবিষ্যতের পাশাপাশি বিগত সময়ের জন্যও প্রযোজ্য হবে। বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা-২০২৫–এ থাকা এই উপবিধির বিষয়টি এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনের তফসিলে রাখা হয়েছে। সে জন্য গত দুই পর্ষদে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

তফসিলে বলা হয়েছে, ঋণখেলাপি, করখেলাপি ও ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যাবে না। নির্বাচনে অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বার গ্রুপের একেকজন ভোটার ১৯টি (সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও দুজন সহসভাপতি এবং ১৫ জন পরিচালক) করে ভোট দেবেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হন সদস্যদের একাংশ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতি পদ থেকে মাহবুবুল আলম পদত্যাগ করেন। পরে ১১ সেপ্টেম্বর এফবিসিসিআইয়ের পর্ষদ বাতিল করে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য মো. হাফিজুর রহমানকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এফব স স আইয় র স ব ণ জ য স গঠন তফস ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি

কিছুদিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, ভেঙে যাচ্ছে ভারতীয় তারকা দম্পতি মাহি ভিজ ও জয় ভানুশালির ১৪ বছরের সংসার। এ খবর চাউর হওয়ার পরও নীরব ছিলেন এই দম্পতি। এর কিছুদিন পর খবর রটে, বিবাহবিচ্ছেদের পর ভরণপোষণের জন্য ৫ কোটি রুপি খোরপোষ দাবি করেছেন। এ নিয়ে শোবিজ অঙ্গনে যেমন জোর চর্চা চলছে, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়াও সয়লাব। ফলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী মাহি ভিজ।    

এ পরিস্থিতিতে নীরবতা ভেঙেছেন ‘বালিকা বধু’খ্যাত মাহি ভিজি। একটি ভিডিও বার্তায় এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি কোথাও পড়েছি, আমি নাকি ডিভোর্স পেপারে সই করেছি, এখন আমাকে সেই কাগজ দেখান। আমরা যতক্ষণ না নিজেরা কিছু বলছি, ততক্ষণ আপনারা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার রাখেন না। আমি জানি, আমরা পাবলিক ফিগার। কিন্তু আমরা যা বলতে চাই, শুধু সেটাই বলব। বাড়িতে আমার অসুস্থ মা আর তিনটি সন্তান আছে। যার মধ্যে দুইজন এখন সবকিছু বোঝে। এমনকি, খুশি (কন্যা) আমাকে মেসেজ করে বলেছে, ‘মা, এসব কী হচ্ছে! ওরা কেন আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলাচ্ছে?’ এসব নিয়ে বাচ্চারা স্কুলেও প্রশ্নের মুখে পড়ছে।” 

আরো পড়ুন:

হাসপাতালে ধর্মেন্দ্র

মধ্যরাতে শাহরুখের বাড়ির সামনে ভক্তদের ভিড়

খোরপোষের বিষয়ে ক্ষুব্ধ মাহি ভিজ বলেন, “আমাদের বাঁচতে দিন। আমরা তারকা বলেই সবকিছু আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে, এমন নয়। কেউ লিখেছে, ‘আমি নাকি ৫ কোটি রুপি খোরপোষ চেয়েছি।’ আমি বা জয় কি এটা বলেছি? যখন প্রমাণ হাতে পাবেন, তখন কথা বলবেন। আমি তো ঠিকমতো জানিই না খোরপোষ কী!”  

খানিকটা ব্যাখ্যা করে খোরপোষের বিষয়ে মাহি ভিজ বলেন, “আমার মতে, যদি একজন পুরুষ নিজে পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করে, তবে বিচ্ছেদের পর সেই অর্থে স্ত্রীর কোনো অধিকার নেই। খোরপোষ তখনই যুক্তিযুক্ত, যখন কোনো নারী সারাজীবন গৃহবধূ হিসেবে থেকেছেন এবং কখনো কাজ করেননি। কোনো নারী যদি কাজ করতে পারেন, তবে নিজেরই উপার্জন করা উচিত।” 

স্বামীর প্রশংসা করে মাহি ভিজ বলেন, “এ বিষয়ে আমার মুখ থেকে না শোনা পর্যন্ত কোনো কিছু বিশ্বাস করবেন না। আমাদের, আমাদের সন্তানদের ও বাবা-মায়ের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন। অনুরোধ করছি, আমাদের একা থাকতে দিন। যদি মনে করি কিছু জানাতে হবে, আমরা নিজেরাই বলব। জয় আমার পরিবার, সে সবসময় আমার পরিবারই থাকবে। সে আমার সন্তানের জন্য দারুণ বাবা এবং একজন অসাধারণ মানুষ।” 

২০১১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মাহি ভিজ ও জয় ভানুশালি। খুব ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেন তারা। এ দম্পতির ‘তারা’ নামে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ২০১৭ সালে রাজবীর ও খুশি নামে দুই সন্তান দত্তক নেন এই দম্পতি।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভোট ছাড়া সমঝোতায় জুয়েলার্স সমিতির নতুন পর্ষদ, সভাপতি এনামুল হক খান
  • ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, এলাকায় উত্তেজনা
  • বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ছাত্রদলের কমিটি নেই ১৪ মাস, স্থবির কার্যক্রম
  • মামলায় ঝুলে গেছে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন
  • গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করলেন সিলেট-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আদিবা হোসেন
  • সম্মেলনের প্রায় তিন মাস পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি