স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানী এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসার পর প্রথমবারের মতো ঢাকার হাসপাতালে যান তিনি।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন বিএনপি নেত্রী। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে কিছু পরীক্ষার জন্য তিনি হাসপাতালে যান। সেখানে পরীক্ষাগুলো করার পর বোর্ড পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। সেখানে চার মাস অবস্থানকালে ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা হয়। ঢাকায় আসার পর নিজ বাসাতেই এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে একটি মেডিকেল বোর্ড তাকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়া তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় লন্ডনের ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন। লন্ডনে যাওয়ার আগে সবশেষ গত ১২ সেপ্টেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
প্রায় ৮০ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। তবে লন্ডন ক্লিনিকে ঝুঁকির কথা চিন্তা করে লিভার প্রতিস্থাপন করেননি চিকিৎসকরা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজব্যবস্থা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য: সালাহউদ্দিন আহমদ
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত ইলেক্টোরাল কলেজব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার হরণে এ ব্যবস্থাকে আরেকটি ছলচাতুরী হিসেবে দেখা হচ্ছে।’
বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকের আলোচনা শেষে বিকেলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সালহাউদ্দিন আহমদ।
বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভোটেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ৭০ হাজার স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিকে ভোটার করে নির্বাচন করার প্রস্তাব তাদের কাছে এখনই গ্রহণযোগ্য নয়। ভবিষ্যতে যদি সংসদীয় আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সমঝোতা হয়, তখন তা বিবেচনার বিষয় হতে পারে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়টি উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা থাকলে অতীতের অনেক নির্বাচনের অনিয়ম রোধ করা যেত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন থাকলেই নির্বাহী বিভাগ ও সংসদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা সম্ভব।
নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যে আইন রয়েছে, সেটি দুর্বল এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে অনুপযুক্ত। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন এখন কার্যকর হলেও ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী আইন প্রণয়ন দরকার।
নির্বাচন কমিশনের জবাবদিহি আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিশনারদের অপসারণের বিধান থাকলেও আরও কিছু খুঁটিনাটি আইন তৈরি করতে হবে, যেন মিসকন্ডাক্ট বা অপব্যবহারের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।
এ ছাড়া মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্যান্য সাংবিধানিক ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্যও শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও কার্যকর আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
আরও পড়ুনকিছু ভিন্নমতসহ এনসিসির পক্ষে জামায়াত-এনসিপি, বিপক্ষে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল৫ ঘণ্টা আগে