ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে একটি পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকালে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের মণ্ডল মার্কেটসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ওই এলাকার জুয়েল আহমেদের দোতলা বাড়ির নিচতলার দেয়াল ধসে পড়ে। 

দগ্ধরা হলেন- জাহানারা (৪০), জুয়েল (২৪), শান্ত (২১), হাওয়া আক্তার (২৩) ও জহরুল (২৬)। আহত পাঁচজনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে জাহানারার শরীরের ৬৮ শতাংশ ও জুয়েলের ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। 

প্রতিবেশীরা জানান, সকালে জাহানারা ঘুম থেকে উঠে রান্না করতে যান। রান্নাঘরের চুলায় আগুন দেওয়ার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ভবনটির নিচতলার দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। আগুনে দগ্ধসহ দেয়ালচাপা পড়ে পাঁচজন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। 
আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক আসাফ-উদ-দৌলা-রিজভী জানান,  গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে পাঁচজন এসেছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

জিরাবো মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার আবু সায়েম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমে ছিল। তখন এক নারী রান্না করার জন্য চুলায় আগুন দিতে গেলে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরিত হয়। এতে কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। তবে গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত রয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ