আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৫
Published: 19th, June 2025 GMT
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে একটি পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকালে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের মণ্ডল মার্কেটসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ওই এলাকার জুয়েল আহমেদের দোতলা বাড়ির নিচতলার দেয়াল ধসে পড়ে।
দগ্ধরা হলেন- জাহানারা (৪০), জুয়েল (২৪), শান্ত (২১), হাওয়া আক্তার (২৩) ও জহরুল (২৬)। আহত পাঁচজনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে জাহানারার শরীরের ৬৮ শতাংশ ও জুয়েলের ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিবেশীরা জানান, সকালে জাহানারা ঘুম থেকে উঠে রান্না করতে যান। রান্নাঘরের চুলায় আগুন দেওয়ার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ভবনটির নিচতলার দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। আগুনে দগ্ধসহ দেয়ালচাপা পড়ে পাঁচজন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক আসাফ-উদ-দৌলা-রিজভী জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে পাঁচজন এসেছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
জিরাবো মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার আবু সায়েম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমে ছিল। তখন এক নারী রান্না করার জন্য চুলায় আগুন দিতে গেলে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরিত হয়। এতে কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। তবে গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত রয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শত্রুতার জেরে কিশোরকে বিষপান ও এসিড ঢেলে হত্যার অভিযোগ
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় মর্মান্তিক ও নৃশংস এক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো. হোসেইনকে (১৩) রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বিষপান করিয়ে এবং অণ্ডকোষে এসিড ঢেলে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
বুধবার (১৮ জুন) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই কিশোর। নিহত হোসেইন উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। সে শিকারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল।
স্থানীয় সূত্র ও পারিবারিক দাবি অনুযায়ী, দুই মাস আগে শিকারপুর গ্রামের মইনুল হোসেনের মুদি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গ্রামে সালিশ বসে। সালিশে অভিযুক্ত সাইমুন নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে চুরির প্রমাণ পাওয়া গেলে গ্রামের সালিশে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সালিশে সাক্ষ্য দেন হোসেইনের বাবা আবু তাহের। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠে সাইমুন।
হোসেইনের বাবা আবু তাহের বলেন, “৩১ মে আমার ছেলেকে রাস্তা থেকে তুলে নেয় সাইমুন ও তার ভাই আলাউদ্দিন। পরে জোর করে তাকে বিষপান করায় এবং তার অণ্ডকোষে এসিড ঢেলে দেয়। ছেলেটা কয়েকদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছে। শেষ পর্যন্ত আর বাঁচল না।”
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. অরূপ কুমার রায় বলেন, “শিশুটির গলা ফুলে গিয়েছিল, সে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। তার অণ্ডকোষ পুড়ে গিয়েছিল। অবস্থা ছিল অত্যন্ত জটিল।”
এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে সাইমুন ও তার ভাই আলাউদ্দিনকে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, “আমরা মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
ঢাকা/রুবেল/এস