গিয়াস উদ্দিন সেলিমের  ‘কাজলরেখা’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকাই শোবিজে পা রাখেন মন্দিরা চক্রবর্তী। ঢাকাই সিনেমার এই গ্ল্যামার গার্ল সম্প্রতি জুটি বেঁধেছেন তার প্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভ’র সঙ্গে। ‘নীলচক্র’ সিনেমায় অভিনয়ের সুবাদে একে অন্যের কাছাকাছি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ‘নীলচক্র’ সিনেমায় এই জুটির রসায়ন দর্শকের প্রসংশা পেয়েছে।

শুভ’র দাম্পত্য সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়েছে, ফলে তিনি এখন সিঙ্গেল। মন্দিরাও সিঙ্গেল। দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন দর্শক। তাদের প্রশ্ন আরিফিন শুভ মন্দিরাকে বিয়ে করতে চাইলে কী সিদ্ধান্ত নেবেন এই নায়িকা।

একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের জবাবে মন্দিরা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমি জানি না আমি করবো? এ রকম কি হওয়ার চান্স আছে? আমার মনে হয় না। সে আমার খুব ভালো কলিগ। বন্ধুও বলা যেতে পারে। এ রকম কোনো প্রশ্ন আসেনি। যদি এরকম কোনো মোমেন্ট বা সিচুয়েশন আসেও তাহলে আমার কী বলতে হবে, তা আমি এই মুহূর্তে বলতে পারবো না। নাও বলতে পারি আবার হ্যাঁও বলে দিতে পারি।’’

আরো পড়ুন:

সুচিত্রা সেন ও শাবানার বায়োপিকে কাজ করতে চান বুবলী

দুই বছর পর সাব্বির নাসিরের নতুন গান ‘আমি যারে ভালোবাসি’

সম্প্রতি মন্দিরা চক্রবর্তী তার  ফেসবুকে নায়কের সঙ্গে নিজের কিছু ছবি  পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে মন্দিরা লিখেছেন, এই  যে পাশে এলে, এই  যে কাছে এলে।  যদিও মন্দিরার  দেওয়া ক্যাপশনের এই কথাগুলো সিনেমার গান ‘যেতে যেতে পথে’  থেকে  নেওয়া। তারপরেও দর্শকের এই কথার মধ্যে দুইজনের প্রেমের চিহ্ন খুঁজে ফিরছেন।

 সিনেমার প্রচারে মন্দিরা ও শুভ নতুন এক উপায় খুঁজে নিয়েছেন। একে অন্যকে প্রশ্ন করা, হাসি, বন্ধুত্ব ও ক্যান্ডিড ছবিতে  দেখা গেছে এই জুটিকে। সিনেমার প্রচারে এই জুটির খুনসুটি দেখে  এই মিষ্টি যুগলকে বাস্তবেও এক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন দর্শক।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ