ভারতকে অবিলম্বে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ সীমান্তে ঠেলে দেওয়া বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একইসঙ্গে মানবাধিকার সংস্থাটি ভারতকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সীমান্তে ঠেলে না দিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবসের একদিন আগে বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বীকৃতি দিতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।’

সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গত মাসেই অন্তত ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে জোর করে মিয়ানমারের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় ফেলে আসে। এছাড়া পৃথক আরেকটি ঘটনায় কমপক্ষে একশ’ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও জানায় অ্যামনেস্টি।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান আকার প্যাটেল বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের জন্য একটি আশ্রয়স্থল ভারত। কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমুদ্রে ফেলে দেওয়া এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে জোরপূর্বক তাদের বের করে দেওয়ার মতো সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো ইতিহাস মনে রাখবে।

সংস্থাটি বলছে, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানের পর থেকে রোহিঙ্গারা তাদের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা এবং নিপীড়ন সহ্য করছে।

এছাড়াও, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার রোহিঙ্গা খাদ্য, পর্যাপ্ত আশ্রয় এবং চিকিৎসার মতো প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে তীব্র সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সহায়তা কমার ফলে যা আরও তীব্র হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প শইন শরণ র থ দ র অ য মন স ট

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ