ডিএসসিসিতে নাগরিক সেবা ব্যাহত, নীরব থাকার সুযোগ নেই: আসিফ মাহমুদ
Published: 19th, June 2025 GMT
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) নাগরিক সেবা যেভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, তাতে আর নীরব বসে থাকার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পুরাতন সভাকক্ষে ‘উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে নির্মাণাধীন পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি ডিএসসিসির মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে নগর ভবনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তার সমর্থকরা। যদিও সরকার জানিয়েছে, বর্তমানে এ দাবি মানার সুযোগ নেই। তবে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে এবং ইশরাক হোসেন জানিয়েছেন, নাগরিক সেবা তাদের তত্ত্বাবধানে সচল থাকবে।
আরো পড়ুন:
ডিএনসিসি প্রশাসক
নগর পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে
ডিএসসিসির ডেঙ্গু–করোনা রোধে বাড়ছে সচেতনতা কার্যক্রম
এ প্রেক্ষাপটে আসিফ মাহমুদ বলেন, “ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। নাগরিক সেবা যেভাবে ব্যাহত হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের কাছে এটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাগরিক সেবা স্বাভাবিক রাখতে আমরা বাইরে থেকে যতটুকু সম্ভব সহায়তা দিচ্ছি।”
সরকার সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিচ্ছে না এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, “সরকার বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত সচেতন। এটা কোনো একক সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। আমরা সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করি। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।”
নাগরিক সেবায় অচলাবস্থা বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত আসবে। বিশেষ করে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উচ্চপর্যায়ে সতর্ক আছি। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ইতোমধ্যে একাধিক বৈঠক করেছেন। সিটি কর্পোরেশনগুলো কাজ করছে, যদিও অনেক কিছু হয়তো চোখে পড়ছে না। আমরা শিগগিরই বিস্তারিত জানাব।”
তিনি বলেন, “ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। সরকার এ বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে এবং সামনে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/এএএম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এসস স ড এসস স সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক