ভোলায় ধরা পড়ল ২ কেজির রাজা ইলিশ, নিলামে দাম উঠেছে সাড়ে ৬ হাজার
Published: 19th, June 2025 GMT
ভোলার মেঘনা নদীতে এক জেলের জালে ২ কেজি ৭০ গ্রাম ওজনের একটি রাজা ইলিশ ধরা পড়েছে। জেলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুরের জেলে মো. তছির আহমেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে সদর উপজেলার তুলাতুলি মাছঘাটে নিলামে ইলিশটির দাম উঠেছে ৬ হাজার ৪৮০ টাকা। মাছটি কিনেছেন আড়তদার মো. কামাল হোসেন। তিনি মাছটি ঢাকার আড়তে বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন।
আড়তদার কামাল হোসেন জানান, আজ দুপুরে দৌলতখানের মদনপুর ইউনিয়নের জেলে তছির আহমেদের জালে রাজা ইলিশটি ধরা পড়ে। সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ন ও দৌলতখানের মদনপুর ইউনিয়নের মাঝামাঝি মেঘনা নদীতে ইলিশটি ধরা পড়ে। এটির ওজন ২ কেজি ৭০ গ্রাম। পরে বেলা দুইটার দিকে ইলিশটি তাঁদের কাছে নিয়ে আসেন জেলে। এরপর নিলামে ইলিশটি সর্বোচ্চ দামে কেনা হয়। তিনি বলেন, ঘাটে দেড় হাজার টাকা থেকে নিলাম শুরু হয়। এরপর বাড়তে বাড়তে ৬ হাজার ৪৮০ টাকায় শেষ হয়। মাছটি তিনি বরিশাল আড়তে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
চলতি বছর মেঘনায় ইলিশের আকাল হলেও মাঝেমধ্যে জেলেদের জালে রাজা ইলিশ পড়ছে। ১৬ জুন ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় মেঘনা নদীতে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের মহেশখালী মাছঘাটের জেলে রাকিব মাঝির জালে ধরা পড়ে ৩ কেজি ১০০ গ্রামের একটি রাজা ইলিশ। মাছটি স্থানীয় বাজারে তোলার আগেই নিলামে ডাক তুলে ৭ হাজার ২০০ টাকায় কিনে নেন পাইকার। পরে ঢাকার বাজারে মাছটি ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
১২ জুন ভোলার দৌলতখানে আবদুল করিমের মাছ ধরার নৌকার পাতা জালে ধরা পড়ে প্রায় চার কেজি ওজনের বড় একটি রাজা ইলিশ। মাছটি দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর হাবিবুল্লাহ হাবুর আড়তে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
জেলে ও আড়তদারেরা জানান, নদীতে এখন সব ধরনের মাছের আকাল। জেলেদের খরচ উঠছে না। ইলিশ যা পড়ছে, সেগুলোর আকার একেবারে ছোট নয়। এক কেজির ওপরে ইলিশ মাছের কেজি মাছঘাটেই কেনা হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। ৭৫০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের হালি বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকায়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, নভেম্বর থেকে জুন—এই আট মাস জাটকা সংরক্ষণ অভিযান ছিল। এ সময় নদী ও সাগরে বিভিন্ন মেয়াদে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা অভিযান সফল হওয়ায় নদীতে এখন বড় বড় ইলিশ পাচ্ছেন জেলেরা। তবে মাছের সংখ্যা কম। বর্ষায় ইলিশ মাছ বাড়বে। ভবিষ্যতে জেলেরা আরও বড় আকারের ইলিশ ধরবেন বলে তিনি আশা করছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনা ভারতে বসে আবারও ষড়যন্ত্র করছে: দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে আবারও ষড়যন্ত্র করছে। চোরাগোপ্তা হামলার পরিকল্পনা করছে।”
জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতীকী যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “তারা যদি আবার ষড়যন্ত্র করে, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তাহলে জনগণ আর কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না। সম্মিলিতভাবে আবার তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এ নির্বাচনের প্রত্যাশায় দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রামে অনেক তরুণ প্রাণ ঝরে গেছে, লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে এবং গণতন্ত্র রক্ষায় মানুষ নির্বাসিত জীবনযাপন করছে।”
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “যদি নির্বাচনের ঘোষণা আসে, তাহলে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে আবারও ক্ষমতায় আনবে।”
তিনি বলেন, “আগামী দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসবেন এবং জনগণের ওপর নির্ভর করে দেশকে এগিয়ে নেবেন। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়। আরো বক্তব্য রাখেন—বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, প্রিন্সিপাল শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক,মৎস্যজীবী দলের নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কৃষক দলের নেতা আব্দুর রাজী, ছাত্রদলের নেতা শামীম আখন্দ প্রমুখ।
ঢাকা/রায়হান/রফিক