এখনও পর্যন্ত বেয়ারশেভায় ইরানের হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি, শুধু ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এক মন্তব্য এসেছে যে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কোনো একটি ত্রুটি ঘটেছিল, যার ফলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হানে।

বেয়ারশেভায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বহু ভবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২০ জুন) ভোরে এই হামলা চালায় ইসরায়েল। 

আরো পড়ুন:

ইরানের ‘লাল রেখা’ কী কী?

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি কী?

ইসরায়েলিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ঘরের জানালার কাচ এবং আসবাবপত্রের ক্ষতির ছবি শেয়ার করেছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, পাঁচজন হালকা আহত হয়েছেন এবং আরো ৩০ জনকে আতঙ্কের কারণে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

 আলজাজিরা লিখেছে, ইরান একটি একক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে নাকি একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনো পাওয়া যায়নি।

আলজাজিরা লিখেছে, তবে এটুকু নিশ্চিতভাবে বলা যায়, ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় এলাকার তুলনায় কম ঘনবসতিপূর্ণ বেয়ারশেভা এখন ইরানের টার্গেটে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সেখানে একটি বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছিল ইরান। যার ফলে দক্ষিণ ইসরায়েলের প্রধান হাসপাতাল সোরোকাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

এই মুহূর্তে কয়েকজনের সামান্য আহত হওয়ার খবর রয়েছে এবং একটি সরাসরি আঘাতের চিত্র সামনে এসেছে, যা ইসরায়েলি সামরিক সেন্সরের অনুমোদন পাওয়ার পর প্রকাশ করা হয়েছে।

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

সরাসরি: ইরানজুড়ে ‘ক্রোধ ও বিজয়’ মিছিলে ইসরায়েলবিরোধী ঐক্যের বার্তা

ইরানের জনগণ শুক্রবার জুমার নামাজের পর দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশ করেছে। ইহুদিবাদী শাসনের (জায়নিস্ট রেজিম) প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছে তারা। দেশের প্রতি অবিচল সমর্থনের ঘোষণা দিয়ে এদিন সারা দেশে রাস্তায় নেমে আসে ইরানিরা।

ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ লিখেছে, এমন এক সময় ইরানজুড়ে এই বিক্ষোভ হলো, যখন ইসরায়েল তাদের দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাচ্ছে।

আরো পড়ুন:

ইরানের অর্থনৈতিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলা বিপজ্জনক: কাতারের প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ইরান হামলায় যুক্তরাজ্যের অংশগ্রহণ ‘অবৈধ’: ব্রিটিশ অ্যাটর্নি জেনারেল

শুক্রবার জুমার নামাজের পর ‘ক্রোধ ও বিজয়’ শিরোনামে সারা দেশে বিক্ষোভ ও মিছিল হয়েছে।

মিছিলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে, তারা ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসনের আগ্রাসী যুদ্ধের নিন্দা জানায়।

কয়েকদিনের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ইরানে পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। 

তাসনিম নিউজ লিখেছে, নির্বিচার ইসরায়েলি হামলার মধ্যে শুক্রবার ইরানিদের উল্লেখযোগ্য মিছিল-সমাবেশ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিস্মিত করেছে।

ইরানের জনগণ বর্বর ইহুদিবাদী হামলার নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দেয় এবং মাতৃভূমির রক্ষায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।

শুক্রবারের এই বিশাল জনসমাগম দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলিদের আশ্রয়কেন্দ্রে লুকিয়ে থাকার দৃশ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত, যা প্রমাণ করে যে ইরানিরা কখনো সামরিক হুমকির সামনে আত্মসমর্পণ করবে না বা মাথা নত করবে না।

জায়নবাদী শাসন ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে একটি উস্কানিমূলক আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যার ফলে বহু শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক শহীদ হন।

ইরানি সামরিক বাহিনী তাত্ক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা শুরু করে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর মহাকাশ বিভাগ ২০ জুন পর্যন্ত “ট্রু প্রমিজ থ্রি” (সত্য প্রতিশ্রুতি-৩) অভিযানের অংশ হিসেবে ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ১৬ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ