ইরানে কৌশলগত মার্কিন অস্ত্রের ব্যবহার হবে বিপর্যয়কর: রাশিয়া
Published: 20th, June 2025 GMT
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের বিরুদ্ধে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে তা হবে একটি বিপর্যয়কর ঘটনা।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম জানায়, পেসকভ এমন কিছু সংবাদমাধ্যম সম্পর্কে মন্তব্য করছিলেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে আলোচনা চলছে।
এদিকে, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ইরান ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ইসরায়েলের চলমান হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুক্ত হতে পারে; এমন ইঙ্গিতও মিলেছে।
আরো পড়ুন:
ইউক্রেনের রাজধানীতে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা
রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেবে ইইউ
রাশিয়া বারবার যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করছে, তারা যেন ইসরায়েলি হামলায় অংশ না নেয়। পেসকভ বলেছেন, “এই ধরনের হস্তক্ষেপ শুধু ওই অঞ্চলকে নয়, গোটা বিশ্বকে বিপজ্জনক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। এতে পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।”
রুশ কূটনীতিকরা স্পষ্ট করে বলছেন, মার্কিন পারমাণবিক হস্তক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের ভারসাম্য ধ্বংস করবে। সংঘাত যদি পারমাণবিক মাত্রায় পৌঁছায়, তার প্রতিক্রিয়া সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলে উদ্বেগ তীব্রতর হচ্ছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সিদ্ধান্তগুলোর ওপর এখন গোটা অঞ্চল তথা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা নির্ভর করছে।
১৩ জুন ইসরায়েলে ইরানে ভয়াবহ হামলা চালায়। ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরি দুয়ারে রয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে এই হামলা চালানো হলেও আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা বলছে, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারপরও ইসরায়েল হামলা অব্যাহত রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে এই হামলায় অংশ নিতে বারবার তাগিদ দিচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পারমাণবিক সক্ষমতা গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বললেও নেতানিয়াহু আবার রেজিম চেঞ্চের কথাও বলছেন। তবে ইউরোপসহ বাকি বিশ্বের নেতারা এই যুদ্ধ চাচ্ছেন না।
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউসিবির ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত এজিএমে ব্যাংকটির শেয়ারধারীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউসিবির চেয়ারম্যান শরীফ জহীর।
ইউসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউসিবির স্বতন্ত্র পরিচালক ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন, পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. তানভীর খান, স্বতন্ত্র পরিচালক ও নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ আলী, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ।
গত বছরের ২৭ আগস্ট ইউসিবির পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই সঙ্গে নতুন চেয়ারম্যান করা হয় ব্যাংকটির উদ্যোক্তা প্রতিনিধি শরীফ জহীরকে। এ ছাড়া নতুন পরিচালক ও স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে গঠিত ওই পরিচালনা পর্ষদের অধীনে এটিই ছিল প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে ইউসিবির অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। বার্ষিক সাধারণ সভায় এটিকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ পাঁচ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার বিষয়ে শেয়ারধারীরা সর্বসম্মত অনুমোদন দেন। পাশাপাশি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন শেয়ার ইস্যুর বিষয়টিও সভায় অনুমোদন করা হয়।
সভায় পরিচালনা পর্ষদকে অতিরিক্ত মূলধন সংগ্রহের জন্য কৌশলগত অংশীদার খুঁজে বের করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, এ জন্য তারা ব্যাংকিং, ডিজিটাল ব্যাংকিং, উন্নয়নমূলক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ডিএফআই) ও সংশ্লিষ্ট খাতে অভিজ্ঞ ও প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে অবশ্যই এ কার্যক্রম বিদ্যমান সব নিয়ম মেনে ও প্রয়োজনীয় অনুমোদন সাপেক্ষে করতে হবে।
সভায় জানানো হয়, মাত্র ছয় মাসে ইউসিবি ৭ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকার নিট আমানত এবং ৩ লাখ নতুন হিসাব খোলার মাধ্যমে যেভাবে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে, সে জন্য বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারধারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভা শেষ করেন ইউসিবির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) ফারুক আহাম্মদ।