সরাসরি: ইরানজুড়ে ‘ক্রোধ ও বিজয়’ মিছিলে ইসরায়েলবিরোধী ঐক্যের বার্তা
Published: 20th, June 2025 GMT
ইরানের জনগণ শুক্রবার জুমার নামাজের পর দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশ করেছে। ইহুদিবাদী শাসনের (জায়নিস্ট রেজিম) প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছে তারা। দেশের প্রতি অবিচল সমর্থনের ঘোষণা দিয়ে এদিন সারা দেশে রাস্তায় নেমে আসে ইরানিরা।
ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ লিখেছে, এমন এক সময় ইরানজুড়ে এই বিক্ষোভ হলো, যখন ইসরায়েল তাদের দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাচ্ছে।
আরো পড়ুন:
ইরানের অর্থনৈতিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলা বিপজ্জনক: কাতারের প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ইরান হামলায় যুক্তরাজ্যের অংশগ্রহণ ‘অবৈধ’: ব্রিটিশ অ্যাটর্নি জেনারেল
শুক্রবার জুমার নামাজের পর ‘ক্রোধ ও বিজয়’ শিরোনামে সারা দেশে বিক্ষোভ ও মিছিল হয়েছে।
মিছিলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে, তারা ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসনের আগ্রাসী যুদ্ধের নিন্দা জানায়।
কয়েকদিনের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ইরানে পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
তাসনিম নিউজ লিখেছে, নির্বিচার ইসরায়েলি হামলার মধ্যে শুক্রবার ইরানিদের উল্লেখযোগ্য মিছিল-সমাবেশ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিস্মিত করেছে।
ইরানের জনগণ বর্বর ইহুদিবাদী হামলার নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দেয় এবং মাতৃভূমির রক্ষায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।
শুক্রবারের এই বিশাল জনসমাগম দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলিদের আশ্রয়কেন্দ্রে লুকিয়ে থাকার দৃশ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত, যা প্রমাণ করে যে ইরানিরা কখনো সামরিক হুমকির সামনে আত্মসমর্পণ করবে না বা মাথা নত করবে না।
জায়নবাদী শাসন ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে একটি উস্কানিমূলক আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যার ফলে বহু শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক শহীদ হন।
ইরানি সামরিক বাহিনী তাত্ক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা শুরু করে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর মহাকাশ বিভাগ ২০ জুন পর্যন্ত “ট্রু প্রমিজ থ্রি” (সত্য প্রতিশ্রুতি-৩) অভিযানের অংশ হিসেবে ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ১৬ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল শ ক রব র আগ র স
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই ঘোষণাপত্র আসছে, উপদেষ্টা আসিফের ফেসবুক পোস্ট
জুলাই ঘোষণাপত্র আসছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ ওই ফেসবুক পোস্টে ৩৬ জুলাই আন্দোলনে শিল্পীদের রাজপথের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ‘হত্যার বিচার ও চলমান দমন-পীড়ন বন্ধের দাবিতে রাজপথে নামেন শিল্পীরা। সকাল ১১টায় সংসদ ভবনের সামনে মানববন্ধনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি থাকলেও খামারবাড়ি মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাঁদের পথ আটকে দেয়। বাধা পেরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে স্লোগান দিতে দিতে তাঁরা পৌঁছান ফার্মগেট। যেখানে ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে রাজপথেই প্রতিবাদ চালিয়ে যান।’
মেট্রোরেলের পিলারে আঁকা গ্রাফিতির উদ্বোধন
গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস তুলে ধরে ঢাকার মেট্রোরেলের পিলারে আঁকা গ্রাফিতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
এ জন্য বিজয় সরণি মেট্রোরেল স্টেশন চত্বরে গতকাল এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, ‘গ্রাফিতিগুলো আমাদেরকে আওয়ামী স্বৈরশাসনের ভয়াল দিনগুলো এবং জনগণের সাহসী প্রতিরোধের ইতিহাস বারবার স্মরণ করিয়ে দেবে। ভবিষ্যতে দেশে যেন আর কোনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে লক্ষ্যে এসব গ্রাফিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী স্বৈরশাসনের নিপীড়ন, জনগণের টানা প্রতিরোধ এবং শেখ হাসিনার পতন ঘটানো জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস তুলে ধরে ঢাকার মেট্রোরেলের পিলারে এসব গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে।