সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাসউদুল হক (ইউএনবি) ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উবায়দুল্লাহ বাদল (কালের কন্ঠ)।

রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২০২৫-২০২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনে নির্বাচন হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ।

মাসউদুল হক ৭৭ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফসিহ উদ্দীন মাহতাব (প্রতিদিনের বাংলাদেশ) পেয়েছেন ৭০ ভোট। বিদায়ী কমিটিতে মাসউদুল সাধারণ সম্পাদক ও মাহতাব সভাপতি ছিলেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী মোহাম্মদ উবায়দুল্লাহ (বাদল) পেয়েছেন ৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মেহদী আজাদ মাসুম ৪৯ ও মোহাম্মদ আকতার হোসেন পেয়েছেন ৪১ ভোট।

বিএসআরএফের ১৫৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৫১ জন। ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় চারটি ব্যালট বিবেচনায় নেয়া হয়নি।

কার্যনির্বাহী কমিটির ১৭টি পদের মধ্যে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ছাড়া সবগুলো পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ঝর্ণা রায়, দপ্তর সম্পাদক পদে গৌতম চন্দ্র ঘোষ (বাংলা নিউজ), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ফারুক আলম (আলোকিত বাংলাদেশ) এবং প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক পদে হাবিবুর রহমান (পঞ্চায়েত হাবিব) (ইনকিলাব) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া কমিটিতে মাইনুল হোসেন পিন্নু (গ্রিন টিভি) সহ-সভাপতি, মাহমুদ আকাশ (জনকন্ঠ) সাংগঠনিক সম্পাদক, এম এইচ রবিন অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

আটটি কার্যনির্বাহী সদস্য পদের বিপরীতে প্রার্থীও ছিলেন আটজন। কার্যনির্বাহী সদস্যদের মধ্যে মো.

রবিউল ইসলাম ৭৮, তোফাজ্জল হোসেন ৭৪, আসাদ আল মাহমুদ ৭০, মুহম্মদ আব্দুল মতিন (মতিন আব্দুল্লাহ) ৬৯, আয়নাল হোসেন ৬২, মো. রাকিব হাসান ৫৫, শফিকুল ইসলাম ৫৩ ও মো. রেজাউর রহিম ৪২টি ভোট পেয়েছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কম ট ম সউদ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।

আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।

বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।

অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।

আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ