রৌমারীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি
Published: 23rd, June 2025 GMT
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে শাহিন মিয়া নামের এক শিক্ষক ও ব্যবসায়ীর বাড়িতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা তাঁর হাত-পা বেঁধে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোয়াল গ্রাম নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রৌমারী থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
শাহিন মিয়া জানান, তাঁর বাড়ির পেছন দিক দিয়ে টিনের বেড়া কেটে ছয়-সাতজন মুখোশ পরা অস্ত্রধারী ডাকাত প্রবেশ করে। এর পর বারান্দার গ্রিল, লোহার তালা ও রুমের দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে এসে ডাকাতরা প্রথমে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁর হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে। পরে পরিবারের সদস্যদের রুমে ঢুকে তাদেরও হাত-পা বেঁধে রাখে তারা। এ সময় ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রায় ১৩ লাখ টাকা, কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নিয়ে যায় ডাকাতরা। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে ডাকাতি কর্মকাণ্ড।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে ও দিন দিন বাড়ছে ডাকাতির প্রবণতা। দ্রুত ওই ডাকাতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাত ছয়-সাতজনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।