বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল ক্যামেরায় তোলা প্রথম ছবিতে সন্ধান মিলল লাখো গ্যালাক্সির
Published: 24th, June 2025 GMT
চিলিতে অবস্থিত রুবিন অবজারভেটরিতে থাকা বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল ক্যামেরায় তোলা মহাকাশের প্রথম ছবিতে দুই হাজারের বেশি গ্রহাণু ও লাখ লাখ গ্যালাক্সির (ছায়াপথ) সন্ধান মিলেছে। জ্যোতির্বিদ ভেরা রুবিনের নামে নামকরণ করা মানমন্দিরটিতে থাকা ক্যামেরাটির নাম লার্জ সিনপটিক সার্ভে টেলিস্কোপ (এলএসএসটি)। বিশাল আকারের এই ডিজিটাল ক্যামেরাটিতে তোলা প্রথম ছবিতে লাখ লাখ গ্যালাক্সি থেকে অভূতপূর্ব আলো ধারণ করেছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, বিশাল এই ডিজিটাল ক্যামেরার মাধ্যমে হাজার হাজার বছর আগের অদেখা গ্রহাণুর ছবি তোলা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের চিফ অফ স্টাফ ব্রায়ান স্টোন জানিয়েছেন, রুবিন অবজারভেটরি আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে ইতিহাসের সব অপটিক্যাল টেলিস্কোপের চেয়েও বেশি তথ্য সংগ্রহ করবে। নতুন এই অবজারভেটরির মাধ্যমে এরই মধ্যে ২ হাজার ১০৪টি গ্রহাণু আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা, যার মধ্যে সাতটি গ্রহাণু পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করছে। আমাদের সৌরজগতে আগে কখনো এসব গ্রহাণু দেখা যায়নি। ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, আমাদের সৌরজগতের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করতে পারে, এমন যেকোনো আন্তনাক্ষত্রিক ধূমকেতু বা গ্রহাণু শনাক্ত করার জন্য ডিজিটাল ক্যামেরাটি ব্যবহার করা হবে।
এলএসএসটি ক্যামেরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ রহ ণ
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবী কি সত্যিই সৌরজগৎ থেকে বেরিয়ে যাবে
কোনো এক ক্ষণস্থায়ী নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের সৌরজগৎজুড়ে ভবিষ্যতে কোনো একসময় অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। এ অস্থিরতার প্রভাবে ভবিষ্যতে পৃথিবী তার কক্ষপথ থেকে সরে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্ল্যানেটারি সায়েন্স ইনস্টিটিউট ও ফ্রান্সের বোর্ডো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ন্যাথান এ কাইব ও শন এন রেমন্ড।
কম্পিউটার সিমুলেশনের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে নক্ষত্রের প্রভাবে পৃথিবী তার কক্ষপথ থেকে বিতাড়িত হয়ে অন্য অবস্থান থেকে গ্রহ বা সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পারে। অর্থাৎ অন্য কোনো নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের গ্রহের অবস্থান বদলে যেতে পারে।
নতুন এ গবেষণার বিষয়ে বিজ্ঞানী ন্যাথান এ কাইব ও শন এন রেমন্ড জানিয়েছেন, নক্ষত্রের প্রভাবে পৃথিবী ও প্লুটোর ভাগ্য কতটা পরিবর্তিত হতে পারে, তা জানার চেষ্টা চলছে। আগামী চার শ বছরের মধ্যে এই অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। সিমুলেশন থেকে দেখা যাচ্ছে, সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহের মধ্যে আমাদের পৃথিবীর কক্ষপথ তুলনামূলক কম স্থিতিশীল। আর তাই নক্ষত্রের কারণে মহাকর্ষীয় টান তৈরি হতে পারে। এমন মহাজাগতিক অস্থিরতার কারণে পৃথিবীর সঙ্গে কোনো গ্রহের সংঘর্ষ বা সৌরজগতের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ভ্রাম্যমাণ কোনো নক্ষত্রের কারণে বুধ গ্রহের কক্ষপথ পরিবর্তন হতে পারে। এর ফলে শুক্র বা মঙ্গল গ্রহ পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। এমনকি পৃথিবী সূর্যের সঙ্গেও ধাক্কা খেতে পারে। বৃহস্পতি গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তিও পৃথিবীকে সৌরজগতে বাইরে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি