প্রতিবেদন না দিতে পিডিবি কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি
Published: 26th, June 2025 GMT
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সরকারি কাজে বাধা ও গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন এক ব্যক্তি। গত মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলের ওয়াপদা ভবনের ১০ তলায় পিডিবির ক্রয় পরিদপ্তরে এ ঘটনা ঘটে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা।
তিনি জিডিতে আনিস নামে এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এস কর্মাশিয়াল এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে গঠিত কমিটি যাতে প্রতিবেদন না দেয়, সে জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
বুধবার পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার আনিস নামে এক ব্যক্তি পিডিবির ক্রয় পরিদপ্তরের পরিচালক নান্নু মিয়ার কক্ষে জোরে করে ঢুকে তাঁকে সরকারি কাজে বাধা দেন। এ সময় এস কমার্শিয়াল এন্টারপ্রাইজ নামের কোম্পানির বিপক্ষে পূর্বে গঠিত কমিটির সদস্য হিসেবে প্রতিবেদন না দিতে তাঁকে চাপ দেন। এক পর্যায়ে পিস্তল বের করে পরিচালককে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আনিস পরিচালককে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন। তিনি এস কমার্শিয়াল এন্টারপ্রাইজের সাইফুল ইসলামের পক্ষে এসেছেন বলেও উল্লেখ করেন। এ সময় মেসার্স টেকনোটেক কোম্পানির খালেদসহ মাস্ক পরা অপর এক ব্যক্তি পরিচালকের কক্ষের বাইরে অবস্থান করছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।
গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।