গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং ‘ডেমন বয়েজ’ গ্রুপের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। এসময় তাদের কাছ থেকে গাঁজা ও মোবাইল জব্দ করা হয়।

শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর রেলষ্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কাশিয়ানীর রাতইল হর্টিকালচার আর্মি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন ইস্তেখার তৌহিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর গ্রামের মোস্তফা মোল্যার ছেলে ইনতেমাম মোল্যা (২০), গেড়াখোলা গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে মো.

জিসান (২০), হোগলাকান্দি গ্রামের মনির মুন্সীর ছেলে হামজা মুন্সী (২০), একই গ্রামের আরিফ মোল্যার ছেলে অনিক মাহমুদ (২০), পশ্চিম মাঝিগাতি গ্রামের আসলাম শরীফের ছেলে ইয়ামিন শরীফ (২০), একই গ্রামের জালাল মোল্যার ছেলে বেলাল মোল্যা (২০), এস্কেন মুন্সীর ছেলে আশিক মুন্সী (২০) ও দোলা গ্রামের ওহিদ শেখের ছেলে হামিম শেখ (২০)।

ক্যাপ্টেন ইস্তেখার তৌহিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মহেশপুর রেলষ্টেশন এলাকায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনীর একটি দল। এসময় কিশোর গ্যাং ডেমন বয়েজ গ্রুপের ৮ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ১৫ গ্রাম গাঁজা, একটি গাঁজা সেবনের কল্কি ও ৮টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা জান্নাত তাদের প্রত্যেককে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা করে জরিমানা করে জেলহাজতে পাঠান।

ঢাকা/বাদল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক। 

 এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”

বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।” 

চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”

ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।” 

হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে। 

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।

কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”

ঢাকা/রাঙামাটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩
  • টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২