সামাজিক মাধ্যমে বাড়বে কনটেন্ট চাহিদা
Published: 29th, June 2025 GMT
সামাজিক মাধ্যমে দিন-রাত চলছে উন্মাদনা আর ছোটাছুটি। কারণ, মাঝেমধ্যে ভালো কনটেন্ট না থাকায় সৃষ্টি হয় বিরক্তি। সুনির্দিষ্ট কিছু খুঁজছেন, কিন্তু কোনোভাবেই ধরা দিচ্ছে না চাহিদার কনটেন্ট। যা সৃষ্টি করছে বোরডম।
এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে গবেষকরা দিয়েছেন বিশেষ পরামর্শ। ১০ মিনিটের চেয়ে কম সময়ের ভিডিওচিত্র এখন চাহিদার শীর্ষে। আর ঠিক এমন কারণ কাজ করে রিলস বা ইনস্টা উদ্ভাবনের নেপথ্যে। অর্থাৎ ৩০ সেকেন্ডে বা তার চেয়ে কম সময়ে মূল বিষয়কে দর্শকের সামনে উপস্থাপনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়।
অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছেন। কখনও পোস্ট, কখনও রিলস; কিন্তু নজর কাড়ছে না কিছুই। উল্টো হচ্ছে বিরক্তির কারণ। ইনস্টা বা ইউটিউব রিলস দেখতে সবাই যেন মরিয়া। কিছুতেই মিলছে না পরিতৃপ্তি। বিভোর করছে, চিন্তার কারণ হচ্ছে; কিন্তু প্রকৃত খোঁজে মিলছে না সদুত্তর।
ঠিক এমন বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করেছে স্কারবোরো ইউনিভার্সিটি। মূল লক্ষ্য, শর্ট ভিডিও বা রিলস কেন বিরক্তির ও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার পেছনের কারণ হচ্ছে ভালো কিছুর খোঁজ, গবেষণা বা জ্ঞানতথ্যের খোঁজ। অর্থাৎ যে রিলস বা ভিডিওচিত্র সব সময় দেখছেন, তা যেন অপছন্দের কারণ। গবেষকরা বলছেন, ভালো কিছুর খোঁজই উদ্ভাবনের পেছনে কাজ করে। প্রকৃত জানার ইচ্ছা তীব্র না হলে সভ্যতার বিকাশ কখনোই সম্ভব হতো না। অন্তহীন খোঁজ যেন রীতিমতো ক্লান্ত করে তুলছে। শেষমেশ বিরক্ত হয়ে হুট করে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি। যাকে সংক্ষেপে বলা হয় বোরডম। সামাজিক যোগাযোগে ছড়ানো গুজব ক্রমে প্রশ্নবিদ্ধ করছে সবকিছু। খুঁজছি, পাচ্ছি; কিন্তু বিশ্বাস করতে পারছি না।
অন্যদিকে, ছড়িয়ে পড়া ঘটনার পেছনে প্রকৃত সোর্স নিয়ে থেকে যায় সন্দেহ।
ঠিক কী খুঁজছেন, এখন তা জানিয়ে দেবে ওপেনএআই চ্যাটবট। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুফলে কনটেন্ট পেয়েছে ভিন্ন গ্রহণযোগ্যতা। জানেন না কিন্তু অনেক নিখুঁত আর তথ্যনির্ভর কনটেন্ট খুঁজে দেবে এআই। গবেষকরা বলছেন, অদূর ভবিষ্যতে কুত্রিম বুদ্ধিমত্তার যেমন পরিসর তৈরি হচ্ছে, তাতে কনটেন্টের অন্তহীন দুনিয়া উন্মোচিত হবে। অভিযোগ রয়েছে, সার্চের কারণে অনেক কনটেন্টে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে গুগল। কনটেন্ট থেকে বিরক্তির সময় ফুরিয়ে আসবে। সামনে উন্মোচিত হবে অভূতপূর্ব কনটেন্ট সাম্রাজ্য।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন।
তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।
উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে।
কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।
জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।
জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”
জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।
জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”
ঢাকা/রুমন/এস