নেইমারকে তার গুরুত্ব প্রমাণের চ্যালেঞ্জ আনচেলত্তির
Published: 30th, June 2025 GMT
ব্রাজিল জাতীয় দলে এবং আগামী বিশ্বকাপে নেইমার জুনিয়রকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন কার্লো আনচেলত্তি। তবে সেই গুরুত্ব নেইমারকে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ব্রাজিলের ইতালিয়ান কোচ। ডন কার্লোর মতে, নেইমারের হাতে সময় আছে। তার ঠিক মতো প্রস্তুত হওয়া উচিত।
লম্বা ইনজুরি কাটিয়ে সান্তোসের জার্সিতে মাঠে ফিরেছেন নেইমার। ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে ফিরেছেন নিয়মিত খেলে ফর্মে ফেরার জন্য। কিন্তু সেখানেও ইনজুরি তার পিছু ছাড়ছে না। যে কারণে ফিটনেসে ঘাটতি আছে তার। নেই আগের মতো সেই ফর্মেও।
ব্রাজিলের কোচ হিসেবে গত মাসে দুই ম্যাচে ডাগ আউটে দাঁড়িয়েছেন আনচেলত্তি। ওই দুই ম্যাচের দলে ছিলেন না নেইমার। যদিও দরজা সেলেসাও তারকার জন্য তিনি খুলেই রেখেছেন। তবে বলটা ঠেলে দিয়েছেন নেইমারের কোর্টে।
ডন কার্লো বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। সে জাতীয় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার, বিশ্বকাপের জন্যও। সেজন্য তার ভালো মতো প্রস্তুত হওয়া উচিত, তার হাতে ঠিকঠাক প্রস্তুত হওয়ার সময়ও আছে। তার সঙ্গে আলাপে এটাই বলেছি যে- তোমার ঠিক মতো প্রস্তুত হওয়া উচিত। কারণ জাতীয় দলে তাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন হিসেবে খেলানোর জন্য আমাদের পরিষ্কার পরিকল্পনা রয়েছে।’
নেইমার পূর্ণ ফিটনেসে ফিরে নিয়মিত ম্যাচ খেলতে পারলে এবং ফর্ম দেখাতে পারেন সেপ্টেম্বরের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে তাকে ব্রাজিল দলে দেখা যেতে পারে। চিলি ও বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে সেলেসাওরা। যা হতে পারে প্রায় দুই বছর পর ব্রাজিলের জার্সিতে নেইমারের প্রথম ম্যাচ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা ছাড়ার আগে স্ত্রীকে যাত্রী সাজিয়ে চালকের আসনে জার্মান দূত
স্ত্রী বেটিনা টোস্টারকে রিকশায় সওয়ারি বানিয়ে চালকের আসনে বসলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম টোস্টার। চললেন কিছুটা পথও। জার্মানির রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশে চার বছরের দায়িত্ব পালন শেষে তিনি আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। রিকশার চালক আর সওয়ায়ির ভিডিও দিয়ে এটাই ছিল জার্মান দূতাবাসের এক্স হ্যান্ডলে আখিমের শেষ পোস্ট।
আখিম ভিডিওতে বলছেন, ‘দারুণ চারটি বছর ঢাকায় কাটিয়ে ফিরে যাচ্ছি বার্লিনে। ঢাকা আর বার্লিনের দূরত্ব মাত্র ৭ হাজার কিলোমিটার।’
ভিডিওতে দেখা যায়, বাসার গেটে একটি রিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আখিম টোস্টার। পরনে লুঙ্গি ও পোলো টি–শার্ট, মাথায় লাল চেকের গামছা, হাতে ঘড়ি ও পায়ে কালো জুতা। এরপর তাঁর স্ত্রী বেটিনা টোস্টার এলে তিনি হাতে ধরে তাঁকে রিকশায় ওঠান। তুলে দেন তাঁর ট্রলিও। এরপর স্ত্রীকে সওয়ারি করে রিকশা চালিয়ে পথে নামেন জার্মান রাষ্ট্রদূত।
দূতাবাসের এক্স হ্যান্ডলে তাঁদের নিরাপদ জার্মান যাত্রার পাশাপাশি পরবর্তী যাত্রার জন্য শুভকামনা করা হয়েছে।
২০২১ সালের আগস্টে ঢাকায় জার্মানির চতুর্দশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন আখিম টোস্টার। ১৯৯০ সালে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়া এই কূটনীতিক বাংলাদেশের আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে নিজের দেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। কূটনীতিক হিসেবে আখিম টোস্টার জেনেভা, মাদ্রিদ, বুখারেস্ট, সারায়েভোর জার্মান দূতাবাসে বিভিন্ন দায়িত্বে কাজ করেছেন।