বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দাহ্য রাসায়নিক নিক্ষেপ, একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ
Published: 4th, July 2025 GMT
যশোরে দাহ্য রাসায়নিকে শিশু ও নারীসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্থানীয় এক ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
দগ্ধ তিনজন হলেন ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী গ্রামের জামাত হোসেনের মেয়ে রিপা খাতুন (২৬), স্ত্রী রাহেলা বেগম (৪৮) ও ছেলে ইয়ানূর রহমান (৮)। রিপার চাচা আবদুর রহমান জানান, বছর চারেক আগে স্বামী সঙ্গে রিপা খাতুনের বিচ্ছেদ হয়। ছেলেকে নিয়ে রিপা বাবার বাড়িতে থাকতেন।
দগ্ধ তিনজনের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, জসীম উদ্দীন নামের একজন অ্যাসিড ছুড়ে মেরেছেন। তাঁর বাড়ি পাশের শার্শা উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামে। তাঁর স্ত্রী–সন্তান আছে। এক বছর ধরে তিনি ঝিকরগাছা উপজেলার মাঠবাড়ি গ্রামে থেকে দিনমজুরের কাজ করেন। তিনি রিপাকে কয়েক দফা বিয়ের প্রস্তাব দেন; কিন্তু রিপা তাতে রাজি হননি।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ঝিকরগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, রিপা রাতে ঘরে বসে ছেলেকে খাওয়াচ্ছিলেন। তাঁর ভাই পাশে বসে পড়ছিল। এ সময় জসীম নামের ব্যক্তি ঘরের জানালা দিয়ে অ্যাডিস ছুড়ে মারেন। রিপাকে জসীম পছন্দ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি অ্যাসিড ছুড়ে মারেন।
পরিবারের সদস্যরা দগ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাঁদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সাফায়েত হোসাইন বলেন, একই পরিবারের তিনজন কেমিক্যান বার্ন হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন জায়গা পুড়ে গেছে। তাঁরা শঙ্কামুক্ত। এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘অ্যাসিডে ঝলসে গেছে কি না, সেটা পরীক্ষা–নিরীক্ষার বিষয়। এ ঘটনা ‘কেমিকেল বার্ন হিসেবে লেখা হয়’।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য় র প রস ত ব পর ব র র উপজ ল র ঝ করগ ছ ত নজন
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে ছেলের হাতে বাবা নিহত
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মোটরসাইকেল কেনার টাকা না পেয়ে বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মো. ইয়াসিন (২২) নামে যুবকের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের বিশনন্দী পূর্বপাড়া গ্রামে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।
নিহতের নাম মো. মাহবুব (৪২)। তিনি কৃষি কাজ করতেন। অভিযুক্ত ইয়াসিন ঘটনার পর থেকে পলাতক।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের যাবজ্জীবন
সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যা: ২ নারীসহ গ্রেপ্তার ৫
এলাকাবাসী জানায়, সকালে ইয়াসিন তার বাবা মাহবুবের কাছে মোটরসাইকেল কিনতে টাকা চান। মাহবুব টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইয়াসিন উত্তেজিত হয়ে হাতুড়ি দিয়ে মাহবুবকে এলোপাথাড়ি আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মাহবুবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
ঢাকা/অনিক/মাসুদ