শেষ পর্যন্ত যাঁরাই চ্যাম্পিয়ন হোন, এবারের উইম্বলডনকে টেনিসপ্রেমীরা ‘অঘটনের উইম্বলডন’ হিসেবে মনে রাখবেন।

বছরের তৃতীয় এই গ্র্যান্ড স্লামে ছেলেদের এককে প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে পড়েছেন দানিল মেদভেদেভ ও আলেক্সান্দার জভেরেভ। ছেলেদের শীর্ষ ১০ বাছাই খেলোয়াড়ের মধ্যে পাঁচজনই হেরে বিদায় নিয়েছেন। মেয়েদের এককে অঘটন ঘটেছে আরও বেশি। কোকো গফ, জেসিকা পেগুলা, জেসমিন পাওলিনি ও ঝেং কিনওয়েন এরই মধ্যে বিদায় নিয়েছেন। ব্যর্থতার সে তালিকায় এবার যুক্ত হলেন যুক্তরাষ্ট্রের তারকা ম্যাডিসন কিস।

আরও পড়ুনউইম্বলডনে কেন ‘ভূমিকম্প’১ ঘণ্টা আগে

উইম্বলডনে আজ তৃতীয় রাউন্ডে র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০৪তম জার্মানির লরা সিগামুন্ডের কাছে ৬–৩, ৬–৩ গেমে হেরেছেন ষষ্ঠ বাছাই ও র‌্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম স্থানে থাকা কিস। মেয়েদের এককে বাছাইয়ে শীর্ষ ছয় খেলোয়াড়ের মধ্যে এখন শুধু র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানীয় আরিনা সাবালেঙ্কাই টিকে রইলেন। ছেলেদের এককে টিকে আছেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কার্লোস আলকারাজ এবং র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ স্থানে থাকা ইয়ানিক সিনার।

জয়ের পর লরা সিগামুন্ডের উদ্‌যাপন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইম বলডন দ র একক

এছাড়াও পড়ুন:

ভাঙ্গায় চার গ্রামের সংঘর্ষে আহত ৬০

জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় চার গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপীনাথপুর গ্রামের সাইমন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বরের মধ্যে জমি নিয়ে গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এরই জেরে রবিবার সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। বৈঠকে বসা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে বিএনপি দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ

গোপীনাথপুর গ্রামের দুটি পক্ষের সঙ্গে পরবর্তীতে ছোট হামেরদী, খাড়া কান্দি ও বাইশা খালি গ্রামের লোকজনও সংঘর্ষে যোগ দেন। ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। সংঘর্ষকারীরা ঢাল, শরকি, কালি, কাতরা, টেটার মতো অস্ত্র ব্যবহার করেন। ইট ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে অন্তত ৬০ জন আহত হন। গুরুতরদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ হোসেন বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এবং চার গ্রামের লোকজন রণক্ষেত্র তৈরি করায় জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছিল। ক্ষতির পরিমাণ পরে জানাতে পারব।”

ঢাকা/তামিম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ