পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন দেশপ্রেমিক অফিসার শহীদ হয়েছেন। দেশপ্রেমিক কর্মকর্তারা গুম, খুন, জেল ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অসংখ্য কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এসব ঘটনার কোনো বিচার হয়নি। 

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নেক্সাস ডিফেন্স ও জাস্টিস আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।  

বক্তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের মানুষের জন্য দুঃস্বপ্নের মতো ছিল। মানুষের মৌলিক অধিকার ও বাকস্বাধীনতা ছিল না। বিবেকবান মানুষের জীবন ছিল কারাগারের মত। এ সময়ে গুম, খুন, গণহত্যা, সীমাহীন দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচার সবকিছুই ছিল নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনা।  

সভায় বক্তারা বিগত স্বৈরাচার আমলে (২০০৯-২০২৪) অন্যায়ভাবে জেল, জুলুম, নির্যাতনের শিকার এবং চাকরি হারানো কর্মকর্তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। পাশাপাশি গুম, খুন ও বরখাস্তের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি চান তারা। 

নেক্সাস ডিফেন্স অ্যান্ড জাস্টিসের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) মোহাম্মদ হাসান নাসিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাসানুজ্জানান চৌধুরী।  বক্তব্য দেন, অধ্যাপক তাজ হাশমী, সাংবাদিক ড. কনক সরওয়ার, কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ল ই অভ য ত থ ন কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

আবুল হায়াত-দিলারা জামানকে নিয়ে মানসিক বিপর্যস্ত জীবন নতুনভাবে দেখার গল্প

অনেক দিন ধরে টিভি নাটকের গল্পে বাঁকবদল চোখে পড়ছে দর্শকের। তরুণ নির্মাতাদের অনেকেই চেষ্টা করছেন সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৈচিত্র্যময় আয়োজন তুলে ধরার। সেই ভাবনা থেকেই এবার তরুণ নির্মাতা হাসিব হোসাইন রাখি নাট্য দর্শকদের সামনে তুলে ধরছেন সম্পর্কের ভিন্ন রকম গল্প। যার শিরোনাম ‘চলো হারিয়ে যাই’। 

মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কিছু মানুষ জীবনকে নতুনভাবে পরখ করে দেখার ঘটনা নিয়ে রচিত হয়েছে এই নাটকের গল্প।

যেখানে দেখা যায়, অফিস বসের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় চাকরি ছেড়ে ট্রাভেল অ্যারেঞ্জারের কাজ শুরু করে। প্রথম সফরে তার সঙ্গী হয় সন্তানদের অবহেলার শিকার দুই বৃদ্ধ মিস্টার ও মিসেস হয়দার। আরও যোগ দেয় প্রেমে ইতি টানার আগে শেষবারের মতো ট্রুর করতে আসে পায়েল ও রাফসান নামের দুই তরুণ-তরুণী, অনাথ আশ্রমে বেড়ে ওঠা সানি এবং কাজের স্বীকৃতি না পেয়ে মানসিক যন্ত্রণায় কাতর রেডিও জকি তিথি। তারা সবাই ছুটে চলে কক্সবাজারের উদ্দেশে। সেই সফরেই তারা সবাই আবিষ্কার করে কী কারণে এবং কীভাবে তাদের সম্পর্কের সুতা ছিঁড়ে গেছে। জীবনের উদ্দেশ্য কী? কেমন হওয়া উচিত কাছের মানুষদের সম্পর্ক? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায় তারা একে অপরের সান্নিধ্যে থেকে।

এমনই কাহিনি নির্মিত ‘চলো হারিয়ে যাই’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব, তানজিম সাইয়ারা তটিনী, আবুল হায়াত, দিলারা জামান, সালমান আরাফাত, রাফসান শান্ত, মায়া রহমান, বাশার বাপ্পী, শারমিন সুলতানা শর্মী, সাজ্জাদ চৌধুরী প্রমুখ।

ক্যাপিটাল ড্রামা ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এ নাটকটি এরই মধ্যে দর্শক মনোযোগ কেড়ে নেওয়া শুরু করেছে। নাটকটি সব শ্রেণির দর্শকমনে ছাপ ফেলবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন এর নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ