মাঠে এখনও ইনজুরির সঙ্গে লড়ছেন নেইমার। তবে ব্যক্তিজীবনে পেলেন একরাশ খুশির খবর। চতুর্থবারের মতো বাবা হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। শনিবার (৫ জুলাই) সকালে প্রেমিকা ব্রুনা বিয়ানকার্দির কোলে এসেছে নেইমার-ব্রুনার দ্বিতীয় সন্তান, এক কন্যাসন্তান। নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে ‘মেল’।
ইনস্টাগ্রামে মেয়েকে কোলে নিয়ে একটি আবেগঘন ছবি শেয়ার করেছেন ব্রুনা। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমাদের মেল এসেছে জীবনকে আরও মিষ্টিময় করতে। স্বাগতম, ছোট্ট রাজকন্যা। ঈশ্বর যেন তোমাকে আশীর্বাদ ও নিরাপত্তায় রাখেন। আমরা তোমার সঙ্গে নতুন এই অধ্যায় শুরু করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমরা তোমাকে ভালোবাসি!’
নেইমারের এটি চতুর্থ সন্তান। ২০১১ সালে তার প্রথম সন্তান ডেভিড লুকা জন্ম নেয় সাবেক প্রেমিকা ক্যারোলিনা ডান্তাসের ঘরে। লুকা এখনো নেইমারের সঙ্গেই থাকেন। ২০২৩ সালে বর্তমান প্রেমিকা ব্রুনা বিয়ানকার্দির গর্ভে জন্ম নেয় প্রথম কন্যা মাভি। এরপর ২০২৪ সালে ইনফ্লুয়েন্সার অ্যামান্ডা কিম্বার্লির ঘরেও জন্ম নেয় নেইমারের আরেক কন্যাসন্তান—হেলেনা।
এখন পারিবারিক সময়েই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন নেইমার। নতুন অতিথি মেলকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে ভাসছে পুরো পরিবার। বড় বোন মাভিও খুশিতে আত্মহারা। আর বাবা নেইমার? ইনজুরির মাঠের বাইরে থেকেও হয়তো এখন সবচেয়ে বড় খেলাটা খেলছেন একজন ভালো বাবা হওয়ার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নৌকায় বসিয়ে নদীতে ডুব দিয়ে আর উঠতে পারেননি তিনি
চার বছর বয়সী মেয়ে রুসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশের করতোয়া নদীতে গোসল করতে গিয়েছিলেন মাসুম আল মামুন (৪২)। নদীর ধারে বেঁধে রাখা নৌকায় মেয়েকে বসিয়ে রেখে পানিতে ডুব দিয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ বাবাকে উঠতে না দেখে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মাকে জানায় রুসফিয়া। পরে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পরে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে মাসুমের লাশ।
রোববার বিকেলে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকাসংলগ্ন করতোয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মাসুম আল মামুনের বাড়ি আহমদনগর এলাকায়। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন।
নিহত মাসুম আল মামুনের মামাতো ভাই জাফর আহমদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নদীতে নেমে তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে বিকেল ছয়টার দিকে পানির নিচে মাসুমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তাঁরা শুনেছেন মাসুমের হৃদ্রোগ ছিল। পানিতে ডুব দেওয়ার পর তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘খবর পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে আমরা নিখোঁজ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারে নদীতে নামি। এ সময় আমাদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনও নদীতে নেমেছিলেন। প্রায় ৪৫ মিনিট খোঁজাখুঁজির পর হঠাৎ করেই স্থানীয় একজনের পায়ে মানুষের শরীরের মতো কিছু একটা লাগে। পরে সেখান থেকে মাসুম আল মামুনের লাশ খুঁজে পাই। পরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।