জয়পুরহাটে পুকুরের পানিতে ডুবে একই গ্রামের ২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার সগুনাচড়া দক্ষিণ দিওর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলেন, সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের সগুনাচড়া দক্ষিণ দিওর গ্রামের হারুনুর রশিদের ৬ বছর বয়সের ছেলে আবির হোসেন এবং একই গ্রামের হাবিবের ৭ বছরের মেয়ে হুমাইরা আক্তার। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ওসি তদন্ত নাজমুল কাদের।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সগুনাচড়া দক্ষিণ দিওর গ্রামে পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করে দুই শিশুর পরিবার। বিকেলে শিশু আবির হোসেন ও হুমাইরা আক্তার খেলতে বের হয়। বাড়ির পাশে তারা খেলাধুলা করছিল। খেলাধুলার ফাঁকে কখন যে ওই দুই শিশু বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে পানিতে ডুবে গেছে তাও কেউ টের পাননি। সন্ধ্যার সময় শিশু দুইজন বাড়িতে না যাওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একপর্যায়ে শিশু দুইজনকে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশী আব্দুল করিম বলেন, এক সাথে একই এলাকার দুই শিশুর মৃত্যু মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের সদস্যদের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জয়পুরহাট সদর থানার ওসি তদন্ত নাজমুল কাদের বলেন, এখন পর্যন্ত দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।
গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।