পঞ্চগড়ে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
Published: 7th, July 2025 GMT
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মতিয়ার রহমান (৭০) নামে এক বাইসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় মোটরসাইকেলের চালক ও অপর আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার (৭ জুলাই) সকালে অমরখানা ইউনিয়নের বোয়ালিমারী এলাকায় পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মতিয়ার রহমানের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের বিদ্যাভিটা এলাকায়। তিনি মরগেন চা কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলের সড়কে ঝরল ৩ প্রাণ
ভ্যানে ধাক্কা দিয়ে পথচারীকে চাপা, নিহত ২
আহতরা হলেন—পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকার পাড়ার অমূল্য রায় (৫২) ও সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের প্রধান পাড়ার আব্দুল্লাহ (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে বাইসাইকেলে করে মরগেন চা কারখানায় যাচ্ছিলেন মতিয়ার রহমান। তিনি কারখানার সামনে আসলে পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়াগামী একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এতে মহাসড়কে ছিটকে পড়েন তিনি। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত পান মতিয়ার রহমান। মোটরসাইকেলের দুই আরোহীও গুরুতর আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মতিয়ার রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনরত চিকিৎসক মৌসুমী মন্ডল।
মোটরসাইকেলের চালক ও অপর আরোহীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল ও সাইকেল জব্দ করেছে সদর থানা পুলিশ।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান জানিয়েছেন, সুরতহাল করে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কোনো অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা/নাঈম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত র রহম ন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।
গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।