পঞ্চগড় সদর উপজেলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মতিয়ার রহমান (৭০) নামে এক বাইসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় মোটরসাইকেলের চালক ও অপর আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন। 

সোমবার (৭ জুলাই) সকালে অমরখানা ইউনিয়নের বোয়ালিমারী এলাকায় পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মতিয়ার রহমানের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের বিদ্যাভিটা এলাকায়। তিনি মরগেন চা কারখানার শ্রমিক ছিলেন।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলের সড়কে ঝরল ৩ প্রাণ

ভ্যানে ধাক্কা দিয়ে পথচারীকে চাপা, নিহত ২

আহতরা হলেন—পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকার পাড়ার অমূল্য রায় (৫২) ও সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের প্রধান পাড়ার আব্দুল্লাহ (৩৫)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে বাইসাইকেলে করে মরগেন চা কারখানায় যাচ্ছিলেন মতিয়ার রহমান। তিনি কারখানার সামনে আসলে পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়াগামী একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এতে মহাসড়কে ছিটকে পড়েন তিনি। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত পান মতিয়ার রহমান। মোটরসাইকেলের দুই আরোহীও গুরুতর আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মতিয়ার রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনরত চিকিৎসক মৌসুমী মন্ডল। 

মোটরসাইকেলের চালক ও অপর আরোহীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল ও সাইকেল জব্দ করেছে সদর থানা পুলিশ। 

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান জানিয়েছেন, সুরতহাল করে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কোনো অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/নাঈম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত র রহম ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে পুশইন

পঞ্চগড়ে পৃথক দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন উপজেলা সদরের চাকলাহাট ইউনিয়নের খুনিয়াপাড়া ও অমরখানা ইউনিয়নের অমরখানা সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশ ইন করা হয়।

বিজিবি জানায়, সকালে খুনিয়াপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৬৪-এর ১৯ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে ১০ জনকে পুশইন করে ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কৈলাশ বিওপির সদস্যরা। পরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবির শিংরোড বিওপি সদস্যরা তাদের আটক করেন। আটকদের মধ্যে চারজন জন পুরুষ, তিনজন মহিলা ও তিনজন শিশু রয়েছে।

একই রাতে অমরখানা সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪৩-এর ৩ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে নারী, শিশুসহ ৫ জনকে পুশইন করে ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বালাচান ক্যাম্পের সদস্যরা। সকালে অমরখানা বিওপি সদস্যরা স্থানীয় বোর্ড বাজার এলাকায় তাদের আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান বিজিবি সদস্যরা। এদের মধ্যে দুই নারী, একজন পুরুষ ও দুইজন শিশু রয়েছে। আটকদের সদর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। 

আটককৃতরা খুলনা, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। তাদের মধ্যে খুনিয়াপাড়া সীমান্তে আটক ১০ জনকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অমরখানা সীমান্তের আটক ৫ জনকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় বিজিবি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান, বিজিপি পক্ষ থেকে সীমান্তে পুশইন হওয়া ১০ জনকে আমাদের কাছে হস্তান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন পুরুষ, তিনজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের নিরাপদ আশ্রয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা প্রকৃত বাংলাদেশী নাগরিক কিনা, এ বিষয়ে যাচাই বাছাই সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে গত দুই মাসে সাত দফায় নারী, শিশুসহ ১০১ জনকে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে জোর করে বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ 
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৫ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে পুশইন