সোনারগাঁয়ে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির অভিযোগ
Published: 9th, July 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে দোকান ভাড়া নিয়ে প্রায় ১৭ বছর ধরে জোরপূর্বক দোকান দখল করে আছে! ভাড়ার টাকা চাইতে গেলে উল্টো পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি ও মার্কেট মালিকসহ তার পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেয় উপজেলার পৌর আওয়ামীলীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মিন্টু। r
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সাল থেকে সোনারগাঁ উপজেলার উদ্ববগঞ্জ (পৌরসভা) এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মার্কেটে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা ভাড়া বাবদ একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যক্তিগত অফিস বানিয়েছেন আওয়ামীলীগের এই নেতা।
ভুক্তভোগী ফাতেমা ও তার পরিবারের লোকজন মিন্টুর কাছ থেকে ভাড়া চাইতে গেলে তিনি গালমন্দ করে উল্টো পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মোয়াজ্জেম হোসেন মিন্টুকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মার্কেট মালিক ফাতেমা আক্তার।
তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে উদ্ববগঞ্জ এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মার্কেটে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা বাবদ আমার কাছ থেকে দোকান ভাড়া নেন। কিন্তু তিনি কোন মাসেই দোকান ভাড়ার টাকা পরিশোধ করতেন না।
২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ভাড়া আসে ৫৭৬০০০ টাকা। দোকানের এই ভাড়া চাইতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু উলটো আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করেন, লোকজনের সামনে আমার স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে লাঠি নিয়ে তেরে আসে আমাদের মারার জন্য। চাঁদা দিলে আমার দোকান ছেড়ে দিবে বলেন। অন্যথায় আমার পরিবারের কেউ যদি দোকানে যায় তাহলে আমাদের হত্যা করবে বলেও হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মিন্টু বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমি এখানে দোকান নিয়েছি কিন্তু আমাকে না জানিয়ে দোকান ভেঙ্গে দিয়েছে। দোকানের ভাড়া না দিয়ে উল্টো চাঁদাদাবী ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন কথা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
সোনারগাঁ থানার ওসি তদন্ত, রাশেদ হাসান খান জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হ মক হত য স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ স ন রগ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
কিংবদন্তি বাবাকে ব্রাজিল জাতীয় দলে রেখে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের দায়িত্ব নিলেন ছেলে
বাবার ছায়াতল থেকে বের হওয়ার ইচ্ছাটা তিনি জানিয়েছিলেন আগেই। বাবার সহকারীর ভূমিকায় আর না থেকে কোনো দলের প্রধান কোচ হতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত এই ইচ্ছাটা পূরণ হলো ডেভিড আনচেলত্তির।
ব্রাজিলের ক্লাব বোতাফোগোর প্রধান কোচ হিসেবে ডেভিডের সই করার খবরটি জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম গ্লোবো। গত রোববার দুই পক্ষের মধ্যে এ চুক্তি সম্পাদিত হয়। ৩৫ বছর বয়সী ডেভিড শিগগিরই রিও ডি জেনিরোয় যাবেন। এ সপ্তাহেই তিনি বোতাফোগোর প্রধান কোচ হিসেবে কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
আরও পড়ুনজার্মানি ৭-১ ব্রাজিল: যে বেদনা চিরন্তন, যে যন্ত্রণার শেষ নেই৪ ঘণ্টা আগেওহ, ডেভিডের বাবার নামটা বলাই হয়নি। এতক্ষণে অবশ্য বুঝে ফেলার কথা—কার্লো আনচেলত্তি। ইতালির এই কিংবদন্তি কোচ এসি মিলানের (২০০১-২০০৯) দায়িত্বে থাকতে ক্লাবটি বয়সভিত্তিক দলে যোগ দেন ডেভিড। ফুটবলার হিসেবে তাঁর ক্যারিয়ার বেশি দূর এগোয়নি। বাবার মতো কোচিংয়ে নামতে ২০০৯ সালে অবসর নেন। ক্রীড়াবিজ্ঞানে ডিগ্রি আছে ডেভিডের।
কোচিংয়ে তাঁর শুরুটা হয় ২০১২ সালে বাবার হাত ধরেই। কার্লো আনচেলত্তি তখন পিএসজির কোচ, সেখানে ফিটনেস কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ডেভিড। ২০১৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদ কোচের দায়িত্ব নেন আনচেলত্তি, ডেভিড সেখানে ফিটনেস কোচের সহকারীর দায়িত্ব নেন। ক্লাসের শীর্ষে থেকে ২০১৬ সালে উয়েফার এ লাইসেন্স পান ডেভিড এবং তারপর থেকে শুরু হয় সহকারী হিসেবে তাঁর পথচলা। সে বছরই বায়ার্ন মিউনিখে প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন তাঁর বাবা। ডেভিডও হয়ে যান বাবার সহকারী। এভাবে পরবর্তী সময়ে নাপোলি, এভারটন, রিয়াল মাদ্রিদে বাবার সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড।
গত মে মাসে কার্লো আনচেলত্তি ব্রাজিলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন। ডেভিডও ব্রাজিল জাতীয় দলে তাঁর বাবার সহকারী কোচ হন। তার আগেই জানা গিয়েছিল, বাবার ছায়াতল থেকে বের হয়ে একাই একটি দলের সব দায়িত্ব নিতে চান ডেভিড। অর্থাৎ বাবার মতোই কোনো দলের প্রধান কোচ হতে চান। তখন স্কটল্যান্ডের রেঞ্জার্স ও ইতালির ক্লাব কোমো থেকে নাকি প্রস্তাব পেয়েছিলেন। তবে এসব প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে বাবার মতোই ব্রাজিলে থিতু হলেন ডেভিড।
আরও পড়ুনব্রাজিলের চরম দুঃখ, ব্রাজিলের পরম আনন্দ—দুটিরই যখন সাক্ষী ৬ ঘণ্টা আগেবোতোফোগোয় একজনের বেশি সহকারী কোচ পাবেন ডেভিড। নিজের কোচিং দলে কাদের রাখবেন, তা এখনো তিনি চূড়ান্ত করেননি। পরিবার নিয়ে আপাতত ইউরোপে ছুটি কাটাচ্ছেন ডেভিড। গ্লোবো জানিয়েছে, ব্রাজিল জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে তাঁর সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করেনি দেশটির ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। জাতীয় দলের ম্যাচ সামনে রেখে সিবিএফ থেকে ডাক পেলে গিয়ে কাজ করেন। সে জন্য বাবার মতো ব্রাজিলে থাকারও বাধ্যবাধকতা ছিল না তাঁর।
ব্রাজিল জাতীয় দলে আনচেলত্তির সহকারীর দায়িত্বে ছিলেন তাঁর ছেলে