ট্রাম্পের ছাঁটাই কর্মসূচির পক্ষে আদালতের রায়
Published: 9th, July 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক ছাঁটাই কর্মসূচির পথে ট্রাম্প প্রশাসনের আরেকটি বাধা কমলো। মঙ্গলবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের রায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে যাওয়ায় হাজার হাজার মার্কিনির চাকরি চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রয়টার্স জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের আদেশক্রমে কৃষি, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, অর্থসহ ডজনখানেক মন্ত্রণালয়ে জনবল হ্রাসের এক ব্যাপক পরিকল্পনা করে প্রশাসন।
মঙ্গলবারের সংক্ষিপ্ত আদেশে সর্বোচ্চ আদালত জানায়, ট্রাম্পের নির্দেশ আইনগতভাবে বৈধ এবং তিনি ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেননি, এই যুক্তিতে ট্রাম্প প্রশাসনের জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আদালত এও স্পষ্ট করেছেন যে, কোনো নির্দিষ্ট সংস্থার ছাঁটাই পরিকল্পনার বৈধতা তারা এখনই যাচাই করছেন না।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে এই রায়কে ‘প্রেসিডেন্টের বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এটি সরকারি খাতের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেয়। তবে দু’জন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এই রায়ের পরও ছাঁটাই অবিলম্বে শুরু করা যাবে না। আইনি প্রক্রিয়া, ইউনিয়ন বিরোধিতা এবং নাগরিক সেবা-সংক্রান্ত সুরক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ছাঁটাইয়ের সময়সীমা এবং পরিধি প্রভাবিত করতে পারে।
এর আগে মে মাসে ক্যালিফোর্নিয়া আদালতের বিচারক সুসান ইলস্টন ট্রাম্পের ছাঁটাই পরিকল্পনায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে পরামর্শ না করে প্রশাসনিক ছাঁটাইয়ের নির্দেশনা দিয়ে ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছেন প্রেসিডেন্ট।
এই মামলার বাদীপক্ষ রায়কে ‘গণতন্ত্রের জন্য একটি ভয়াবহ আঘাত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। বাদীপক্ষের মধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়ন, অলাভজনক সংস্থা ও স্থানীয় সরকার রয়েছে। তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।