বৌভাত থেকে ফেরার পথে বাস উল্টে পুকুরে, নিহত ৩
Published: 10th, July 2025 GMT
রংপুরে বৌভাতের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে পুকুরে পড়েছে। এতে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। তাদের অনেককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার রাত ১১টার দিকে পীরগাছা উপজেলার দেউতি সড়কের বেলতলা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, রংপুর সিটি করপোরেশনের নজিরেরহাট এলাকা থেকে ৫০-৬০ জন বাসে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলতলী এলাকায় একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে পীরগাছা-সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে দেউতি বেলতলা বাজারে পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। পরে তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা শিশুসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেন।
পীরগাছা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আল-আমিন জানান, ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত দ ই
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরের সেই বিদ্যালয়টি অবশেষে ভেঙেই পড়ল পদ্মা নদীতে
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নের ১৫১ নম্বর উত্তর মাথাভাঙা মান্নান সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি পদ্মা নদীতে ভেঙে পড়েছে। বিলীন হয়ে গেছে বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ জমি। বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবন নদীতে বিলীন হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার বিকেলে ভবনটির একটি অংশ নদীতে ভেঙে পড়ে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়ন পদ্মা নদীর চরে অবস্থিত। ইউনিয়নটির একদিকে মুন্সিগঞ্জ ও আরেক দিকে চাঁদপুর জেলা। ওই এলাকাটির চার দিক দিয়ে পদ্মা নদী প্রবাহিত হয়েছে। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মাথাভাঙা চরবানিয়াল গ্রামে ৪০০ পরিবারের বসবাস। ওই গ্রামের বাসিন্দারা নদীতে মাছ শিকার ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁদের মধ্যে পড়ালেখার আগ্রহ কম। এ ছাড়া গ্রামটিতে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল না। ২০১৭ সালে ওই গ্রামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করে সরকার। পরের বছর ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়। একতলা একটি পাকা ভবনের চারটি কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলছিল। সোমবার বিকেলে বিদ্যালয় ভবনের একটি অংশ নদীতে ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুনযেকোনো সময় পদ্মায় বিলীন হতে পারে শরীয়তপুরের বিদ্যালয়টি১৯ ঘণ্টা আগেবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকেরা জানান, ২০২৩ সালে বিদ্যালয়টি পদ্মার ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ে। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করে। এ বছরের জুন মাসে সেই বালুর বস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভবনটি রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ভাঙনের কবল থেকে বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিদ্যালয় ভবনটি ভাঙনের মুখে পড়লে ৪ সেপ্টেম্বরের থেকে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। রোববার বিদ্যালয়ের আসবাব ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে উত্তর মাথঅভাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে