ট্যাগ দিয়ে হেনস্তার রাজনীতি থেকে বের হওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দাড়ি-টুপি বা মুসলমানের চিহ্ন থাকলে শিক্ষার্থীদের শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করা হতো। হিজাব–নিকাব পরা থাকলে তাঁদের ছাত্রী সংস্থার ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। ফলে এই ট্যাগের রাজনীতি থেকে আমরা বের হতে চাই। কোনো ধরনের ট্যাগিং যাতে না চলে, রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে যাতে কাউকে হেনস্তা না করা হয়, এমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই।’

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পদযাত্রা ও পথসভায় নাহিদ ইসলাম এ কথাগুলো বলেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাখার আয়োজিত এ সভায় শিক্ষার্থীসহ আশপাশের সাধারণ মানুষও অংশ নেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গণতান্ত্রিক সহাবস্থান থাকবে, মতপ্রকাশের অধিকার থাকবে এবং বাংলাদেশের বুদ্ধিভিত্তিক নেতৃত্ব, সাংস্কৃতিক নেতৃত্ব, সামাজিক–রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গড়ে উঠবে।’

গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান তুলে ধরে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা যখন কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই, তখন ভুলে যাই যে আমরা রাজনৈতিক দল। মনে হয় আমরা আপনাদের সঙ্গের সেই সহযোদ্ধা। আমরাও ছাত্র, আমরাও শিখতেছি। জাতীয় নাগরিক পার্টির কথার থেকেও আমরা গণ-অভ্যুত্থানের গল্পটা মূলত বলতে এসেছি।’

সংস্কার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল আকাশচুম্বী এবং এখনো আছে। আমরা গণ-অভ্যুত্থানকে স্রেফ একটা রেজিম চেঞ্জ হিসেবে দেখি না। মানুষের জীবনের পরিবর্তন আনবে গণ-অভ্যুত্থান, রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কার আনবে। এই গণ-অভ্যুত্থানের প্রধানতম লেজিটেমিসি হচ্ছে ছাত্ররা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।’

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘এই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিয়েছে। তাদের সেই নেতৃত্বের বিকাশের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন। নিজের মতপ্রকাশের অধিকারের জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার এবং অধিকারের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সরব হোন, আপনাদের (শিক্ষার্থীদের) দাবির সঙ্গে আমরা আছি।’

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহসমন্বয়ক তানভীর মণ্ডল, ইয়াসিরুল কবীর, গোলাম রব্বানী, সায়েম আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম র জন ত র র জন

এছাড়াও পড়ুন:

থিম্পুতে ৪ দিনব্যাপী ‘এসপিবিএ ভুটান আর্টক্যাম্প-২০২৫’

ভুটানের রাজধানী থিম্পুর বাংলাদেশ দূতাবাসে ৪ দিনব্যাপী ‘এসপিবিএ ভুটান আর্টক্যাম্প-২০২৫’ শুরু হয়েছে। গত ৮ জুলাই সোসাইটি ফর প্রমোশন অব বাংলাদেশ আর্টের (এসপিবিএ) এই আর্টক্যাম্পটি চলবে আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত।

আর্ট ক্যাম্পে বাংলাদেশ থেকে একুশে পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান শিল্পী কনক চাঁপা চাকমাসহ যোগ দিয়েছেন দেশের সাতজন তরুণ শিল্পী। তারা হলেন- শিল্পী কানক চাঁপা চাকমা, আজমীর হোসেন, সহিদ কাজী, সৌরভ চৌধুরী, সুমন ওয়াহেদ, সৈকত হুসাইন, ফারজানা রহমান ববি ও রূপশ্রী হাজং।

এছাড়া ভুটানের ২ জন তরুণ শিল্পীও এসপিবিএ আর্টক্যাম্পে অংশ নিচ্ছেন। তারা হলেন উগেন সেরিং দয়া ও কিশোর দাহাল।

এরই মধ্যে ভুটানে বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জনাব শিবনাথ রায় আর্টক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তিনি এই আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং শিল্পীদের সঙ্গে মত বিনিময়ও করেন। এই আর্টক্যাম্পের সার্বিক পরিচালনায় রয়েছেন দেশের খ্যাতিমান স্থপতি রফিক আজম। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

সম্পর্কিত নিবন্ধ