রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে নির্মিত স্থাপনাটি ভেঙে দিচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এটি প্রজন্ম চত্বর হিসেবে পরিচিত ছিল। গত শনিবার দিবাগত রাতে এই স্থাপনা ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আবহাওয়া ঠিক থাকলে রোববার দিবাগত রাতের মধ্যে পুরো স্থাপনাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

আজ রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, স্থাপনাটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হলেও পুরোপুরি শেষ হয়নি। উৎসুক অনেকে সেখানে এসে ছবি তুলছেন। কেউ কেউ ফেসবুক লাইভও করছেন।

জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো.

শাহজাহান মিয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে শাহবাগ মোড়ে নির্মিত স্থাপনাটি তাঁরা ভেঙে দিচ্ছেন। সেখানে নতুন করে স্থাপনা তৈরি হবে। কী ধরনের স্থাপনা তৈরি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তিনি শুনেছেন সরকার দেশের ৬৪টি জেলায় যে ‘জুলাই মনুমেন্ট’ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এর মধ্যে ঢাকারটি শাহবাগের যে অংশে এই স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছিল, সেখানে তৈরি করা হবে।

‘প্রজন্ম চত্বর’ নামে পরিচিতি পাওয়া শাহবাগ মোড়ের এই স্থাপনা আজ রোববার রাতের মধ্যেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আজ রোববার বিকেলের চিত্র

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ হব গ ম ড় র বব র

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।

গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ