যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেরোম পাওয়েলকে তার পদ থেকে খুব তাড়াতাড়ি সরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) হোয়াইট হাউজে রিপাবলিকানদের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প বলেন, “ফেড চেয়ারম্যান আর বেশি দিন থাকবেন না। তিনি ভালো কাজ করছেন না এবং তিনি কেবল অল্প সময়ের জন্য থাকবেন, খুব বেশি দিন থাকবেন না।” 

ট্রাম্প বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডের একজন ‘ভয়ঙ্কর’ প্রধান আছেন। তিনি পাওয়ালকে ‘কঠোর’ ও ‘বিরক্তিকর’ বলে অভিহিত করেন। 

আরো পড়ুন:

আগস্টে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা

জাপান ও ফিলিপাইনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা ট্রাম্পের

২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এবং ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক পুনঃনিযুক্ত পাওয়েল দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্পের ক্রোধের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে প্রকাশ্যে এবং প্রায়শই পাওয়েলকে সুদের হার কমানোর জন্য চাপ দিয়েছিলেন।

ট্রাম্প পাওয়েলের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে দোষারোপ করেছেন।

ট্রাম্প বলেন, “শুরুতে আমি তার (পাওয়েলের) সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করেছি.

..কারণ লোকটি খুব একটা বুদ্ধিমান ব্যক্তি। তার ফেড চেয়ারম্যান পদে থাকা উচিত ছিল না। এবং আমি একরকম নিজেকেই এর জন্য দোষারোপ করি, কিন্তু তার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আমি বাইডেনকে দায়ী করি।”

ট্রাম্প জানান, বাইডেন প্রশাসন যখন ফেড চেয়ারম্যান পদে পাওয়েলের মেয়াদ বাড়িয়েছিল, তখন তিনি অবাক হয়েছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি মনে করি বাইডেন প্রশাসন পাওয়ালকে পুনঃনিযুক্ত করেছিল, কারণ তারা জানত যে, আমি তাকে কতটা অপছন্দ করি, তাই তারা সেই কারণেই এটি করেছে।” 

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি পাওয়েলকে বরখাস্ত করার কোনো পরিকল্পনা করছেন না। কিন্তু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য সুদ কমানোর দাবিতে ট্রাম্পের চাপ ক্রমশই বেড়েছে।

এর আগে গত ২ জুলাই, ফেড চেয়ারম্যান পাওয়েলকে ‘অবিলম্বে পদত্যাগ’ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।

তবে পাওয়েল বলেছেন, প্রেসিডেন্টের চাপে তিনি পদত্যাগ করবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, ফেডের মতো স্বাধীন সংস্থার বোর্ড সদস্যদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সরানো যায় শুধুমাত্র গুরুতর কারণ দেখাতে পারলে। ১৯৩৫ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি ঐতিহাসিক রায়ে এ কথা স্পষ্ট বলা আছে।

তবে ট্রাম্প অতীতেও বিভিন্ন স্বশাসিত সংস্থার প্রধানদের বা শীর্ষ কর্মকর্তাদের অপসারণের চেষ্টা করেছেন, যার অনেকগুলো আদালতে চ্যালেঞ্জ হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র ট র ম প বল র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের শীর্ষ ১০ আইকনিক ফুটবল স্টেডিয়াম

১সিগনাল ইদুনা পার্ক | ডর্টমুন্ড, জার্মানি সিগনাল ইদুনা পার্ক

সম্পর্কিত নিবন্ধ