দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নীলা রানী (৪৪) নামে এক নারীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। 

এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল রহমান, তার ছেলে ও দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার ৪নং আটগাঁও ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মনিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নীলা রানী মনিপুর গ্রামের মৃত অনিত্র চন্দ্র রায়ের স্ত্রী। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান। 

প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীরা জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নীলা রানী তার ফসলি জমি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নীলা রানীকে একা পেয়ে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল রহমান, তার ছেলে মুন্না এবং তার দুই ভাই তারিকুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। নীলা রানী বর্তমানে বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, “উপজেলার মনিপুর গ্রামে এক নারীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। থানায় অভিযোগ হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা একজনকে গ্রেপ্তারও করেছি। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।”

ঢাকা/মোসলেম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লক্ষ্মীপুরে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদ ভুক্তভোগী পরিবারের
  • মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা