শেখ হাসিনার মামাতো ভাই আ. লীগ নেতা শেখ হীরা গ্রেপ্তার
Published: 24th, July 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই ও আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেতা শেখ অলিদুর রহমান হীরাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ জাকিউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
টেকনাফে বোরকা পরে চেকপোস্ট পার হতে গিয়ে যুবক আটক
গোপালগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
গ্রেপ্তার শেখ অলিদুর রহমান হীরা শেখ হাসিনার চাচাতো মামা শেখ আকরাম হোসেনের ছেলে। এছাড়া, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ জাকিউল করিম বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন হীরা। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ঢাকার একাধিক থানাসহ খুলনা ও গোপালগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। কিন্তু, গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে ছিলেন। বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে শেখ হীরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।’’
ঢাকা/বাদল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বরাদ্দের ১০ দিনের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের বাসা ‘দখলে’ নিতে হবে
বরাদ্দ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে খালি বাসার ‘দখল’ নিতে হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। অথবা ‘দখল’ নিতে ইচ্ছুক না হলে সেটাও জানাতে হবে আবাসন পরিদপ্তরকে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি বাসা-বাড়ি কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর
সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
বরাদ্দপত্রে উল্লিখিত শর্ত অনুযায়ী, বাসা খালি হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে বাসার দখল গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু, অনেক সময় বরাদ্দপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কিছু বরাদ্দগ্রহীতা বাসা খালি থাকা সত্ত্বেও বাসার দখলভার গ্রহণ করেন না।
তাছাড়া, অনেক বরাদ্দগ্রহীতা বরাদ্দ করা বাসাটি খালি থাকা সত্ত্বেও বাসার দখল গ্রহণ না করে দীর্ঘদিন পর বরাদ্দ করা বাসাটির পরিবর্তে অন্য একটি বাসা বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন কিংবা বাসাটির বরাদ্দ বাতিলের আবেদন করেন। এতে বাসাটি দীর্ঘদিন খালি থাকার কারণে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব আহরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে বাসার দখল ধরে রাখার কারণে অন্য কর্মচারীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
সরকারি আবাসনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন বাসা-বাড়ির বরাদ্দপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেন বরাদ্দ পাওয়ার পর বরাদ্দপত্রের শর্ত মোতাবেক বাসাটি খালি হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে দখলভার গ্রহণ করেন কিংবা দখলভার গ্রহণে ইচ্ছুক না হলে তা দ্রুততার সঙ্গে আবাসন পরিদপ্তরকে অবহিত করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাজীব