‘চাকরির তদবিরের জন্য সাক্ষাৎ করা যাবে না’
Published: 24th, July 2025 GMT
‘চাকরির তদবিরের জন্য জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করা যাবে না। চাকরির জন্য তদবির, প্রার্থীর অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।’— এমন কড়া বার্তা দিয়েছেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবেত আলী। নিজ কার্যালয়ের সামনে এ সব লিখে সাঁটিয়েছেন পোস্টারও।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পোস্টারটি চোখে পড়ে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং আওতাধীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের সাধারণ প্রশাসনের ১১টি ক্যাটাগরিতে ৪৬টি শূন্য পদের নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এই বার্তা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী ২৫ জুলাই সকাল ১০টায় পঞ্চগড় জেলা শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় প্রায় ৫০০০ জন চাকরি প্রত্যাশী অংশ নেবেন।
আরো পড়ুন:
সরকারি চাকরিতে কোটা পাচ্ছেন না ‘জুলাই যোদ্ধারা’: উপদেষ্টা
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি, কিন্তু আমার লক্ষ্য কী?
চাকরি প্রত্যাশীদের অনেকে এই সতর্ক বার্তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পরীক্ষার্থী সাকিব হাসান বলেন, ‘‘ডিসি স্যার যেটা করছেন সেটা খুবই ভালো। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের একটা বিশ্বাস তৈরি হচ্ছে, চাকরি পেতে এখন শুধু পড়ালেখা করলেই চলবে।’’ আরেক পরীক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, ‘‘এমন উদ্যোগ থাকলে সমাজে অন্যায়ভাবে চাকরি পাওয়ার প্রবণতা কমবে। যোগ্যদের সুযোগ মিলবে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য কেন্দ্রভিত্তিক সময়সূচি ও অন্যান্য নির্দেশনা জেলা প্রশাসনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, ‘‘সরকারি নিয়োগে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও মেধার ভিত্তিতেই হবে চূড়ান্ত নির্বাচন। তদবিরের কোনো সুযোগ নেই।’’
ঢাকা/নাঈম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ কর পর ক ষ র জন য তদব র
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।