পুকুরে মিলল কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি
Published: 25th, July 2025 GMT
পাবনার চাটমোহরে পুকুরে মাছ ধরার সময় কষ্টিপাথরের একটি বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশে ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তিটি থানায় নিয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের মাঝগ্রাম থেকে প্রায় তিন ফুট লম্বা এই মূর্তি উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, আজ সকালে মাঝগ্রামের বাসিন্দা লোকমান হোসেন নিজের পুকুরে জেলেদের নিয়ে মাছ ধরছিলেন। এসময় কয়েকজন জেলের পায়ে শক্ত বস্তুর আঘাত লাগে। বস্তুটি পানি থেকে উঠিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে তারা বুঝতে পারেন, সেটি কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি।
আরো পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির আরো একটি কার্যালয় ভাঙচুর
নড়াইলে নাশকতার মামলায় সাবেক ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, “এলাকার লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ বিষ্ণু মূর্তিটি থানায় নিয়ে যায়। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে যেটুকু জেনেছি, মূর্তিটি ১০০০ সাল থেকে ১১০০ সালের মধ্যকার সময়ের হতে পারে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের লোকজন এসে মূর্তিটি তাদের হেফাজতে নেবে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।