ব্যক্তিগত অর্জন বা উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজ ও দেশের জন্য অবদান রাখা ১০ তরুণের খোঁজে চলছে বিশেষ আয়োজন ‘স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন’।

এ আয়োজনের জুরিবোর্ডে আছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার (প্রধান বিচারক), বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন সেঁজুতি রহমান।

দেশের বিভিন্ন খাতে অবদান রাখা ‘হিরো’দের খুঁজে বের করার এ উদ্যোগ নিয়ে আয়োজকদের পাশাপাশি আশাবাদী বিচারকেরাও। এ বিষয়ে সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের উদ্দেশ্য যেন সফল হয়, এটাই আমার প্রত্যাশা। সমাজের সত্যিকারের মেধাবী তরুণ ও ভালো মানুষগুলো যেন স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে উঠে আসতে পারে এবং তাদের দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হয়, সেই চেষ্টাই আমরা করব।’

হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য অনুপ্রেরণামূলক গল্পকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার এক অসাধারণ উদ্যোগ এটা, যা তরুণদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। আশা করি, এমন কিছু গল্প আমরা পাব, যা অন্যদের পথ দেখাবে এবং অনুপ্রাণিত করতে ভূমিকা রাখবে।’

এ উদ্যোগ সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সেঁজুতি রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের তরুণেরা মেধাবী এবং দারুণ সম্ভাবনাময়। এদিকটা বিবেচনায় বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ—এটা আমাকে সব সময় আশাবাদী করে রাখে।’ তিনি আরও বলেন, দেশের এই প্রতিভাবান তরুণের গল্প জানা এবং তাঁদের মূল্যায়নের সুযোগ পাওয়া অনুপ্রেরণার বিষয়। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও মানবিক চিন্তার মেলবন্ধনেই গড়ে উঠবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ। বিচারকার্যের মতো কঠিন বিষয়ে তাঁর ওপর আস্থা রাখার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দেন তিনি।

‘স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন’, আবেদন করুন ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন প র

এছাড়াও পড়ুন:

বরাদ্দের ১০ দিনের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের বাসা ‘দখলে’ নিতে হবে

বরাদ্দ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে খালি বাসার ‘দখল’ নিতে হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। অথবা ‘দখল’ নিতে ইচ্ছুক না হলে সেটাও জানাতে হবে আবাসন পরিদপ্তরকে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি বাসা-বাড়ি কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর

সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান

বরাদ্দপত্রে উল্লিখিত শর্ত অনুযায়ী, বাসা খালি হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে বাসার দখল গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু, অনেক সময় বরাদ্দপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কিছু বরাদ্দগ্রহীতা বাসা খালি থাকা সত্ত্বেও বাসার দখলভার গ্রহণ করেন না।

তাছাড়া, অনেক বরাদ্দগ্রহীতা বরাদ্দ করা বাসাটি খালি থাকা সত্ত্বেও বাসার দখল গ্রহণ না করে দীর্ঘদিন পর বরাদ্দ করা বাসাটির পরিবর্তে অন্য একটি বাসা বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন কিংবা বাসাটির বরাদ্দ বাতিলের আবেদন করেন। এতে বাসাটি দীর্ঘদিন খালি থাকার কারণে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব আহরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে বাসার দখল ধরে রাখার কারণে অন্য কর্মচারীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সরকারি আবাসনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন বাসা-বাড়ির বরাদ্দপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেন বরাদ্দ পাওয়ার পর বরাদ্দপত্রের শর্ত মোতাবেক বাসাটি খালি হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে দখলভার গ্রহণ করেন কিংবা দখলভার গ্রহণে ইচ্ছুক না হলে তা দ্রুততার সঙ্গে আবাসন পরিদপ্তরকে অবহিত করেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ