স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন: আয়োজন ও তরুণদের নিয়ে বিচারকদের প্রত্যাশা
Published: 25th, July 2025 GMT
ব্যক্তিগত অর্জন বা উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজ ও দেশের জন্য অবদান রাখা ১০ তরুণের খোঁজে চলছে বিশেষ আয়োজন ‘স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন’।
এ আয়োজনের জুরিবোর্ডে আছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার (প্রধান বিচারক), বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন সেঁজুতি রহমান।
দেশের বিভিন্ন খাতে অবদান রাখা ‘হিরো’দের খুঁজে বের করার এ উদ্যোগ নিয়ে আয়োজকদের পাশাপাশি আশাবাদী বিচারকেরাও। এ বিষয়ে সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের উদ্দেশ্য যেন সফল হয়, এটাই আমার প্রত্যাশা। সমাজের সত্যিকারের মেধাবী তরুণ ও ভালো মানুষগুলো যেন স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে উঠে আসতে পারে এবং তাদের দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হয়, সেই চেষ্টাই আমরা করব।’
হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য অনুপ্রেরণামূলক গল্পকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার এক অসাধারণ উদ্যোগ এটা, যা তরুণদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। আশা করি, এমন কিছু গল্প আমরা পাব, যা অন্যদের পথ দেখাবে এবং অনুপ্রাণিত করতে ভূমিকা রাখবে।’
এ উদ্যোগ সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সেঁজুতি রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের তরুণেরা মেধাবী এবং দারুণ সম্ভাবনাময়। এদিকটা বিবেচনায় বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ—এটা আমাকে সব সময় আশাবাদী করে রাখে।’ তিনি আরও বলেন, দেশের এই প্রতিভাবান তরুণের গল্প জানা এবং তাঁদের মূল্যায়নের সুযোগ পাওয়া অনুপ্রেরণার বিষয়। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও মানবিক চিন্তার মেলবন্ধনেই গড়ে উঠবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ। বিচারকার্যের মতো কঠিন বিষয়ে তাঁর ওপর আস্থা রাখার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দেন তিনি।
‘স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন’, আবেদন করুন ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন প র
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।