মুজিববাদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমবেত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

মিছিলে ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ, মুজিববাদ মুর্দাবাদ’, ‘২৪ শের বাংলায়, মুজিবাদের ঠাঁই নাই’, ‘কন্ঠে আবার লাগা জোর, মুজিববাদের কবর খোঁড়’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, বিপ্লবীরা জেগেছে’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।

আরো পড়ুন:

স্কুলছাত্রী ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবিতে সাজেকে মিছিল

৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করা হবে : নাহিদ

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এসএম সুইট, সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, ইয়াসিরুল কবির সৌরভ, মুবাশ্বির আমিন প্রমুখ।

ইবি শাখার সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, “১ বছর আগে যে মুজিববাদের কবর রচনা করেছিল পুরো বাংলাদেশের ছাত্র জনতা, সেই ১ বছর পূর্তিতে আবার মুজিববাদ নয়াভাবে আবির্ভূত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছ। মাইলস্টোনের মত ঘটনায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এবং তাদের পোষা কুত্তারা ইন্টারিমসহ সারা বাংলার ছাত্র জনতার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।”

তিনি বলেন, “গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের উপর দেশি-বিদেশি অস্ত্র দিয়ে ন্যক্কারজনক হামলা করিয়েছে তারা। এটি যদি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ না হয়ে কোনো একটি ইসলামিক সংগঠন হত, ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী মহল এটাকে জঙ্গিসহ বিভিন্ন নাম দিয়ে বাংলাদেশকে খারাপভাবে উপস্থাপন করত।”

তিনি আরো বলেন, “ইবিকে আমরা সেকেন্ড গোপালগঞ্জ হতে দিতে পারি না। আমরা বলেছিলাম, অনতিবিলম্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজিববাদের সব নিদর্শনকে ধ্বংস করতে হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, মুজিববাদের নিদর্শনগুলোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সে রকম কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিতে চাই। আপনারা এই ২০ ঘণ্টার ভিতরে ইবি থেকে মুজিববাদের নিদর্শনকে ধূলিসাৎ করে দেবেন।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম জ বব দ র ব শ বব দ য

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ

যবিপ্রবিতে বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

মিছিলে তারা ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সাবেক সহ-সমন্বয়ক ইয়াসকিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রব্বানী, ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন, রাফিজ, শিবির নেতা রায়হান নেজামী প্রমুখ।

এসএম সুইট বলেন, “যারা গণহত্যার বৈধতা দিয়েছিল তাদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন থেকে একটা তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক রাঘববোয়ালদের নাম আসেনি। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে, তাদেরও নাম আসেনি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জুলাইবিরোধী সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে আমরা কখনোই না। কিন্তু অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি শিক্ষার্থীদের ম্যানিপুলেট করে জুলাইবিরোধী কাজগুলো করানোর চেষ্টা করছে। আশা করছি, এটি ধোপে টিকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব যেহেতু শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের প্রতি। সে জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কৃত সিদ্ধান্তকে নাটক ও প্রহসন দাবি করে ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন বলেন, “প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কার ও হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাতের নাম বাদ দিয়েই তারা বাদবাকি চুনোপুঁটিদের বহিষ্কার করার যে নাটক, যে প্রহসন, সেই প্রহসনকে আমরা সে ঘৃণ্যাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ