মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘মব সৃষ্টি যেসব কারণে হয়, সেই কারণগুলোকে আমাদের অ্যাড্রেস (বিবেচনা) করতে হবে এবং সেটিই করা ভালো বলে আমি মনে করি। সরকার এখানে কোনো ধরনের বাড়তি দমনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষপাতী নয়।’

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবন মিলনায়তনে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান পুনর্জাগরণ উপলক্ষে গণ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ফরিদা আখতার এ কথাগুলো বলেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘আমরা সব সময় চাই, শান্তিপূর্ণভাবে সবকিছু হ্যান্ডল করতে (সামলাতে) এবং আমাদের এই সরকারের একটা আচরণ, সেটি হলো যে আমরা অহেতুক কাউকে লেথাল উইপন ইউজ (প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার) করা বা কঠিনভাবে দমন করতে চাই না। আমরা অনেক সহ্য করি। আমরা মনে করি যে এটা সামাজিক ব্যাপার। মব সৃষ্টির ব্যাপারটাকে সামাজিকভাবেই সমাধান করতে হবে।’

এ সময় ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বিগত সময়গুলোয় দেখেছি, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এবং যারা ক্ষমতাসীন, তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় এবং এমনও আছে মানবাধিকারের বিষয়ে যেগুলো একেবারে কাঠামোগত। এই যে মানবাধিকার কমিশন, আমাদের পক্ষে তখন কাজ করেছে আন্তর্জাতিকভাবে এবং অনেকগুলো প্রতিবেদন তারা করেছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা যখন অফিস করতে চাচ্ছে। এর মানে এই নয় যে এখন আমাদের মানবাধিকারের অবস্থা খারাপ বলে তারা আসতে চাচ্ছে। এ রকম একটা অফিস থাকলে যারাই ক্ষমতায় আসুক, প্রত্যেকের মধ্যে একটা ব্যাপার থাকবে যে আমরা মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে খুবই সচেতন এবং আমরা সেটি রক্ষা করতে চাই। যেহেতু জাতিসংঘ এ ব্যাপারে সক্রিয়, তারা তাদের অফিস রেখে এটা করতে চাচ্ছে, আমরা তাতে সম্মতি জানিয়েছি।’

ভারতে ইলিশ রপ্তানির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘ভারতের পত্রিকার তথ্য হলো গঙ্গায় ইলিশ অনেক বেড়ে গেছে। যেকোনো কারণেই হোক সাগরের ইলিশ ওদিকে গেছে। কাজেই তাদের আর আমাদের ইলিশের অপেক্ষা করা ঠিক হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখানে যদি ইলিশের সংকট থাকে, তাদের ওখানে আমাদের পাঠানোর কোনো কারণ নেই। হ্যাঁ, এই সৌজন্যতা গতবার রাজনৈতিক কারণে দেখানো হয়েছে। আমরা আসলে জনগণের প্রতি আমাদের কমিটমেন্ট রাখতে গিয়ে যদি সরবরাহ বেশি থাকে বা সেই রকম পরিস্থিতি হয়, সেটি তখন দেখা যাবে। এখন পর্যন্ত আমাদের সে রকম কোনো পরিকল্পনা নেই।’

প্রবাসীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শুধু সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘তাঁরা (প্রবাসীরা) আমাদের রেমিট্যান্স দিচ্ছেন। তাঁরা ইলিশ খেতে পারছেন না, এ জন্য আমরা ১১ হাজার মেট্রিক টন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুমতি দিয়েছি। যদি কেউ রপ্তানি করতে চান, সেটি দিতে পারেন। কিন্তু এর বেশি নয়।’

স্মৃতিচারণা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো.

আবুল হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নীলুফার সুলতানা। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং শেষে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম নব ধ ক র উপদ ষ ট আম দ র আখত র

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ