বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন–২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ব্যাংকের ১ হাজার ৪১৪টি শাখা–উপশাখার প্রতিনিধিরা যোগ দেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএফআইসি ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গতকাল শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের আইএফআইসি টাওয়ারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো.

মেহমুদ হোসেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মনসুর মোস্তফার সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক কাজী মো. মাহবুব কাশেম, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক। এ ছাড়া ব্যাংকের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা দিলিপ কুমার মন্ডলসহ উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি), প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও দেশের ১৮৯টি শাখার ব্যবস্থাপকেরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন বলেন, আইএফআইসি ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিত হওয়ায় গ্রাহকদের মাঝে আস্থা ফিরে এসেছে। ইতিমধ্যে ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ বেড়ে ৫১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। 

সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মনসুর মোস্তফা বলেন, ব্যাংককে টেকসই করে তুলতে স্থায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জন ও উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে আইএফআইসির শক্তিশালী ভিত্তিগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। 

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস থ অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার

প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা। 

কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।

মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ। 

এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা। 

কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে। 

কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। 

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ