একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু, চট্টগ্রামে কোন কলেজে কত আসন
Published: 30th, July 2025 GMT
আসন্ন শিক্ষাবর্ষে (২০২৫-২৬) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে আজ বুধবার। চট্টগ্রামের শিক্ষা বোর্ডের অধীন থাকা পাঁচটি জেলার ২৯০টি কলেজে এবার ১ লাখ ৬৭ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি রয়েছে। এসব জেলায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির মোট আসনের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজারই চট্টগ্রাম জেলায়। এর মধ্যে আবার চট্টগ্রাম নগরের কলেজগুলোতেই আসনসংখ্যা সাড়ে ৫১ হাজারের মতো।
শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের কিছু কলেজের পক্ষ থেকে আসন বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু কলেজে আসন বাড়ানো হতে পারে। এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ড আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে। চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মোহাম্মদ ছরওয়ার আলম বলেন, ‘এখনো আসন বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা কাজ করছি। এটির জন্য আবেদনে কোনো সমস্যা হবে না।’
চট্টগ্রামে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অধিকাংশেরই নজর থাকে নগরের সরকারি কলেজগুলোতে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের পছন্দের ১০টি কলেজের তালিকায় অন্তত ৬টি সরকারি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম কলেজ, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ও সরকারি কমার্স কলেজে আগ্রহ তুলনামূলক বেশি।
নগরের চকবাজার এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম কলেজে গতবারের হিসাবে আসনসংখ্যা ১ হাজার ৪০। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৬৬০টি ও মানবিকে ৩৮০টি আসন। বিজ্ঞান বিভাগে আবেদনের যোগ্যতা জিপিএ-৫ ও মানবিক বিভাগে সর্বনিম্ন জিপিএ-৪।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ নগরের আগ্রাবাদ এলাকার সরকারি কমার্স কলেজ। যেখানে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের আসনসংখ্যা এক হাজার। আবেদনের যোগ্যতা জিপিএ-৪.
সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ৬৬০, ব্যবসায় শিক্ষায় ৬১৫ ও মানবিকে ৪৫০টি আসন রয়েছে। সরকারি সিটি কলেজে মোট আসনসংখ্যা ২ হাজার ৪০০। এর মধ্যে দিবা শাখায় বিজ্ঞান বিভাগের আসন ৭০০, ব্যবসায় শিক্ষায় ৪০০ ও মানবিকে আসন ৫০০টি। নৈশ শাখায় ব্যবসায় শিক্ষায় ও মানবিকে আসন ৪০০টি করে। দুই কলেজেই আবেদনের যোগ্যতা বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫, ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ-৪.৫ ও মানবিকে সর্বনিম্ন জিপিএ-৪।
ছাত্রীদের পছন্দের তালিকায় অন্যান্য সরকারি কলেজের পাশাপাশি রয়েছে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ। যেখানে মোট আসন ১ হাজার ৪০০। এখানে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে আসন রয়েছে ৫০০টি করে। আর মানবিকে আসন ৪০০টি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে মোট আসন ৯০০টি এবং আগ্রাবাদ মহিলা কলেজে আসন ১ হাজার ৩২৫টি।
এখনো আসন বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা কাজ করছি। এটির জন্য আবেদনে কোনো সমস্যা হবে না।মোহাম্মদ ছরওয়ার আলম, কলেজ পরিদর্শক, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডনগরের বাইরে উপজেলাগুলোতেও সরকারি কলেজে আগ্রহ বেশি শিক্ষার্থীদের। এর মধ্যে বোয়ালখালীর স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজে মোট আসন ১ হাজার ৫০০। একই সংখ্যক আসন রয়েছে সাতকানিয়া সরকারি কলেজেও। তিন বিভাগ মিলিয়ে ১ হাজার ৫৬০টি আসন রয়েছে হাটহাজারী সরকারি কলেজে। বাঁশখালীর সরকারি আলাওল কলেজ ও রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজে মোট আসনসংখ্যা ৯৫০।
জেলার অন্যান্য সরকারি কলেজের মধ্যে পটিয়া সরকারি কলেজে ১ হাজার ২৫০, রাউজান সরকারি কলেজে ১ হাজার ৫০, নিজামপুর সরকারি কলেজে ১ হাজার ২২৫, গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজে ১ হাজার ৩৫০, ফটিকছড়ি সরকারি কলেজে ১ হাজার, চুনতি সরকারি মহিলা কলেজে ৭০০ ও সীতাকুণ্ড সরকারি মহিলা কলেজে আসনসংখ্যা ৬৫০।
আজ শুরু হওয়া ভর্তির আবেদন চলবে আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন করা যাবে। যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তির কাজ হবে ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। আবেদনের বিস্তারিত তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য় শ ক ষ য় ৫ ও ম নব ক আসনস খ য ম হ ম মদ ম ট আসন র সরক র কল জ র ভর ত র নগর র আসন ব আসন র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে একাদশে ভর্তি, জেনে নিন সব তথ্য
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে প্রভাতি শাখায় আবাসিক বা অনাবাসিক এবং দিবা শাখায় অনাবাসিক হিসেবে ছাত্র ভর্তি করা হবে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের একাদশ শ্রেণির ভর্তির নীতিমালা অনুসরণ করে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম চলবে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
আবেদনের যোগ্যতা ও আসনসংখ্যাবিভাগভিত্তিক আসনসংখ্যা এবং শিক্ষার্থীদের আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা নিচে দেওয়া হলো।
১. বিজ্ঞান বিভাগ# প্রভাতি শাখা: বাংলা মাধ্যমে আবাসিকে আসন ১৫০, অনাবাসিকে আসন ২৫০। দিবা শাখা: বাংলা মাধ্যমে অনাবাসিকে আসন ৩০০। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রদের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.৫০, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের আবেদনের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৫.০০।
# প্রভাতি শাখা: ইংরেজি ভার্সনে আবাসিকে আসন ১০, অনাবাসিকে আসন ৫৫। দিবা শাখা: ইংরেজি ভার্সনে অনাবাসিকে আসন ৬৫। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রদের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.৫০, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের আবেদনের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৫.০০।
২. ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ# প্রভাতি শাখা: বাংলা মাধ্যমে আবাসিকে আসন ১৫, অনাবাসিকে আসন ৩৫। দিবা শাখা: বাংলা মাধ্যমে অনাবাসিকে আসন ৫০। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রদের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.২২, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের আবেদনের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.৫০।
# প্রভাতি শাখা: ইংরেজি ভার্সনে আবাসিকে আসন ১০, অনাবাসিকে আসন ৪০। দিবা শাখা: ইংরেজি ভার্সনে অনাবাসিক আসন ৫০। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রদের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.২২, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের আবেদনের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.৫০।
৩. মানবিক বিভাগপ্রভাতি শাখা: বাংলা মাধ্যমে আবাসিকে আসন ২০, অনাবাসিকে আসন ৩০। দিবা শাখা: বাংলা মাধ্যমে অনাবাসিকে আসন ৫০। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রদের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.২২, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের আবেদনের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.৫০।
আরও পড়ুনবিল গেটস বৃত্তি, সুযোগ তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর২৩ জুলাই ২০২৫দরকারি তথ্য১. এ কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (উভয় শাখার) শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা আবাসিক থাকতে চায়, তাদের অবশ্যই প্রস্তুতি শাখায় আবাসিক হিসেবে আবেদন করতে হবে। যারা অনাবাসিক থাকতে চায়, তারা এসএসসিতে যে শাখায় (শিফটে) ছিল, সেই শাখায় (শিফটে) আবেদন করবে। এ কলেজ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদন ফরমে পছন্দক্রম তালিকায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের প্রযোজ্য শাখায় (শিফটকে) ১ নম্বরে রাখতে হবে।
২. ভর্তি-ইচ্ছুক অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা মেধাক্রম অনুসারে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রভাতি বা দিবা শাখায় নির্বাচিত হবে। প্রভাতি শাখায় নির্বাচিত ছাত্ররা ভর্তির সময় আবাসিক বা অনাবাসিক হিসেবে আবেদন করতে পারবে। প্রভাতি ও দিবা শাখায় ভর্তিকৃত কোনো ছাত্র শাখা (শিফট) পরিবর্তন করতে পারবে না।
৩. কলেজের ওয়েবসাইট www.drmc.edu.bd এ ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্য, নিয়মাবলি ও ফলাফল জানা যাবে।
৪. কলেজের আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্রদের বেতন ও অন্যান্য ব্যয়সংক্রান্ত যাবতীয় বিবরণ কলেজের ওয়েবসাইট www.drmc.edu.bd এ সংযুক্ত করা আছে।
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন শুরু ৩০ জুলাই থেকে