প্রস্তাব
এক ঠোঙা গরম জিলাপি হাতে মরাবাড়িতে দাঁড়াব
দরজা খোলো
রহে রহে প্রেম খেলব
উজিরকে বুঝিয়ে দিয়ে রাজ্যপাট
বনবাস মাথা পেতে নেব
কারনেশনে তোমার সঙ্গে কাটাব অন্য রকম ঋতু
পাপ মুছে যাবে যৌথতায়
দরজা খোলো
সমুদ্রের গভীরে সিঙ্কহোল খুঁজে দুজন
গুছিয়ে নেব পৃথুল বিছানা
এখানে ভয়, শুধু ভয়...
যার-তার লালায় ফুসলে উঠছে ওশান ফায়ার
ঐ নীলচে আগুনে আমার ডানা ঝলসে যাওয়ার আগেই
আলগা করো খোঁপার বাঁধন
বলো, আমাদের সকলই প্রথম, আদিমতম ভুল!
বসন্ত বাতাসেবসন্ত বাতাসে সই গো
আসি-আসি বসন্তের চমচম—স্বাদু বাতাসে
ঘোড়ার লিঙ্গ
অদলবদল করে পরে তোমার পুরুষেরা;
ভান করে প্রেমিক সাজার
তারা বাসনা রাখে
আগুন ও পুষ্পচামেলির
অধীশ্বর হবে, মনে মনে।
তাদের দিকে তাক করে রাখি জলকামান
হাবভাব দেখে মনে পড়ে
সিন্ধু সভ্যতার পয়ঃপ্রণালি
ছিল কত উন্নততর!
ওরা খাল খনন করে নিয়ে আসত
মনোরম পানিধারা
আমাদের পুঞ্জ পুঞ্জ কুঞ্জবনে.
তুলিও না দুর্গ এত উঁচু করে
আমার রওজায় গিয়ে পড়বে যার ছ্যামা—
সৌরচুম্বন বিহনে যাবে না ঘুম
ছুটবে না ফিনফিনে মেলানিন
ঝরে পড়বে বুঝিবা তায়
অবহেলায়, অঘ্রানের
মারমুখী ওস!
বাংলা গান যদ্দুর যেতে পারে নাইহৃদয়ের একটা ফুল ছিঁড়ে
দিলাম তোমায়
শিরার একটা ভুল পঙ্ক্তি চিরে
দিলাম
খোঁড়া পায়ে বললাম, চলো কফি খেতে যাই
শ্রাবণের জারুলতলা দেখি
রক্তে মিশ্রিত এ কাবিন ফিরিয়ে দেবে জানি
তা হাতে নিয়ে একা একা ভিজব
তোমাকে ভালোবাসতে গিয়ে
ভালো লেগে গেল বকুল, ভুল এবং ভূততাড়ানিয়া ভোরকে!
একটা কুড়িয়ে পাওয়া শামুক
দিলাম তোমায়
নিরালায়
গভীরে পাতো যদি কান
বুঝে যাবে সমুদ্র খুব বেশি দূরের ব্যাপার নাই আর
তোমার কাছাকাছিই সে বেঁচে আছে
তার গোঙানি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে।
দ্বন্দ্বশীলাভুতুড়ে নিস্তব্ধতা
ভাঙতে কী ছুড়ে দিই—
ঘৃণা না গোলাপজল?
এই প্রশ্নে
জুদা হলো বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি ও
দর্শনের বোঝাপড়া
নিঃশেষ—
ফতুর রস-কষ-শিঙাড়া-বুলবুলির সরলতা;
নগর-বন্ধু,
তোমার পথে ভাঙতে যেয়ে
এই সুপারন্যাচারাল
নীরবতা
বুজে গেছে আমার আরেকটি চোখ—
ফেটে গেছে ডাঙর কুসুমের রিদম...
অনুগ্রহপূর্বক ফিরিয়ে নাও সমূহ দ্বন্দ্বের উৎপাত।
অ্যাসাইনমেন্ট‘If you see the Buddha, kill him’
—Lin Chi
জাম্বু রেইনকোট আর হরিণের চামড়ার বেল্ট
হাতে নয়া চাবুক
চোখে ভাসবে জঙ্গমের রই রই
দৃশ্যমান হবে এভাবেই সর্বসমক্ষে
এক ডুব আমিষের ব্যাংক বাড়ির পুকুরে
ডুব মাশরুমের রঙিন বনে
পর-ডুব সাতকন্যার মরাহাজা চোখে
সম্পন্ন হবে এই ধাপে ধাপে তোমার দীক্ষা
তোমার কাজ বুদ্ধকে দেখামাত্রই হত্যা করা
তোমার কাজ স্পঞ্জি ছুরি চেপে ধরা কিন্নরীর ঘাড়ে
এবং
চাবুকের আঘাতে ভ্রষ্ট নগরীর সমস্ত জীবাত্মাকে
জাগিয়ে তোলা জীবনে
মশালে রূপ দেওয়া হাতিচাপা পড়া জ্বলন্ত বচনটিকে
‘জীবন ব্যতিরেকে উলঙ্গ সত্য নেই কোনো’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে
জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।
এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস