Prothomalo:
2025-09-17@23:45:05 GMT

ভুল এবং ভূততাড়ানিয়া ভোর

Published: 30th, July 2025 GMT

প্রস্তাব

এক ঠোঙা গরম জিলাপি হাতে মরাবাড়িতে দাঁড়াব

দরজা খোলো

রহে রহে প্রেম খেলব

উজিরকে বুঝিয়ে দিয়ে রাজ্যপাট

বনবাস মাথা পেতে নেব

কারনেশনে তোমার সঙ্গে কাটাব অন্য রকম ঋতু

পাপ মুছে যাবে যৌথতায়

দরজা খোলো

সমুদ্রের গভীরে সিঙ্কহোল খুঁজে দুজন

গুছিয়ে নেব পৃথুল বিছানা

এখানে ভয়, শুধু ভয়...

যার-তার লালায় ফুসলে উঠছে ওশান ফায়ার

ঐ নীলচে আগুনে আমার ডানা ঝলসে যাওয়ার আগেই

আলগা করো খোঁপার বাঁধন

বলো, আমাদের সকলই প্রথম, আদিমতম ভুল!

বসন্ত বাতাসে

বসন্ত বাতাসে সই গো

আসি-আসি বসন্তের চমচম—স্বাদু বাতাসে

ঘোড়ার লিঙ্গ

অদলবদল করে পরে তোমার পুরুষেরা;

ভান করে প্রেমিক সাজার

তারা বাসনা রাখে

আগুন ও পুষ্পচামেলির

অধীশ্বর হবে, মনে মনে।

তাদের দিকে তাক করে রাখি জলকামান

হাবভাব দেখে মনে পড়ে

সিন্ধু সভ্যতার পয়ঃপ্রণালি

ছিল কত উন্নততর!

ওরা খাল খনন করে নিয়ে আসত

মনোরম পানিধারা

আমাদের পুঞ্জ পুঞ্জ কুঞ্জবনে.

..

তুলিও না দুর্গ এত উঁচু করে

আমার রওজায় গিয়ে পড়বে যার ছ্যামা—

সৌরচুম্বন বিহনে যাবে না ঘুম

ছুটবে না ফিনফিনে মেলানিন

ঝরে পড়বে বুঝিবা তায়

অবহেলায়, অঘ্রানের

মারমুখী ওস!

বাংলা গান যদ্দুর যেতে পারে নাই

হৃদয়ের একটা ফুল ছিঁড়ে

দিলাম তোমায়

শিরার একটা ভুল পঙ্‌ক্তি চিরে

দিলাম

খোঁড়া পায়ে বললাম, চলো কফি খেতে যাই

শ্রাবণের জারুলতলা দেখি

রক্তে মিশ্রিত এ কাবিন ফিরিয়ে দেবে জানি

তা হাতে নিয়ে একা একা ভিজব

তোমাকে ভালোবাসতে গিয়ে

ভালো লেগে গেল বকুল, ভুল এবং ভূততাড়ানিয়া ভোরকে!

একটা কুড়িয়ে পাওয়া শামুক

দিলাম তোমায়

নিরালায়

গভীরে পাতো যদি কান

বুঝে যাবে সমুদ্র খুব বেশি দূরের ব্যাপার নাই আর

তোমার কাছাকাছিই সে বেঁচে আছে

তার গোঙানি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে।

দ্বন্দ্বশীলা

ভুতুড়ে নিস্তব্ধতা

ভাঙতে কী ছুড়ে দিই—

ঘৃণা না গোলাপজল?

এই প্রশ্নে

জুদা হলো বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি ও

দর্শনের বোঝাপড়া

নিঃশেষ—

ফতুর রস-কষ-শিঙাড়া-বুলবুলির সরলতা;

নগর-বন্ধু,

তোমার পথে ভাঙতে যেয়ে

এই সুপারন্যাচারাল

নীরবতা

বুজে গেছে আমার আরেকটি চোখ—

ফেটে গেছে ডাঙর কুসুমের রিদম...

অনুগ্রহপূর্বক ফিরিয়ে নাও সমূহ দ্বন্দ্বের উৎপাত।

অ্যাসাইনমেন্ট

‘If you see the Buddha, kill him’

—Lin Chi

জাম্বু রেইনকোট আর হরিণের চামড়ার বেল্ট

হাতে নয়া চাবুক

চোখে ভাসবে জঙ্গমের রই রই

দৃশ্যমান হবে এভাবেই সর্বসমক্ষে

এক ডুব আমিষের ব্যাংক বাড়ির পুকুরে

ডুব মাশরুমের রঙিন বনে

পর-ডুব সাতকন্যার মরাহাজা চোখে

সম্পন্ন হবে এই ধাপে ধাপে তোমার দীক্ষা

তোমার কাজ বুদ্ধকে দেখামাত্রই হত্যা করা

তোমার কাজ স্পঞ্জি ছুরি চেপে ধরা কিন্নরীর ঘাড়ে

এবং

চাবুকের আঘাতে ভ্রষ্ট নগরীর সমস্ত জীবাত্মাকে

জাগিয়ে তোলা জীবনে

মশালে রূপ দেওয়া হাতিচাপা পড়া জ্বলন্ত বচনটিকে

‘জীবন ব্যতিরেকে উলঙ্গ সত্য নেই কোনো’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ