শিক্ষকদের জন্য আইপিডিসির নতুন ঋণসেবা ‘প্রজ্ঞা’
Published: 30th, July 2025 GMT
আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি বাংলাদেশের শিক্ষকদের জন্য ‘প্রজ্ঞা’ নামে নতুন একটি ঋণসেবা চালু করেছে।
আইপিডিসি ও প্রথম আলোর যৌথ উদ্যোগে চলমান ‘আইপিডিসি–প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা ২০২৫’ পঞ্চম আসরের অংশ হিসেবে এই ঋণসেবা চালু করা হয়েছে। প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা আয়োজনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জাতি গঠনে শিক্ষকদের অমূল্য অবদানকে স্বীকৃতি জানানোর পাশাপাশি তাঁদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করা।
আইপিডিসি জানিয়েছে, প্রজ্ঞা নামের এই ঋণসেবা শুধু আর্থিক স্বনির্ভরতা নয়, বরং শিক্ষকদের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতার এক আন্তরিক প্রকাশ। দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে শিক্ষকদের অসামান্য ভূমিকা বিবেচনায় রেখে এই বিশেষ ঋণসেবা চালু করা হয়েছে, যাতে তাঁরা সহজে ও নিশ্চিন্তে নিজেদের আর্থিক প্রয়োজন পূরণ করতে পারেন।
প্রজ্ঞা ঋণসেবায় কিছু বিশেষ সুবিধার মধ্যে রয়েছে সুদহার কম, প্রসেসিং ফিতে ৫০ শতাংশ ছাড় এবং জামানত ছাড়াই সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ। অন্যান্য ঋণের মতো শুধু চাকরি থেকে প্রাপ্ত আয় নয়, এখানে টিউশন বা কোচিংয়ের আয়ও বিবেচনায় নেওয়া হয়, যাতে আরও বেশি শিক্ষক এই সুবিধার আওতায় আসতে পারেন।
শিক্ষকদের প্রয়োজন বুঝে প্রজ্ঞা ঋণসেবাটি সহজ ও নমনীয় শর্তে তৈরি করা হয়েছে। ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করার সুযোগ থাকবে। এই ঋণ সরকারি–বেসরকারি ও এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষকেরা নিতে পারবেন। এমনকি যেসব অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের নিয়মিত আয় আছে, তাঁরাও এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে হলে মাসিক আয় হতে হবে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা। আর বয়স হতে হবে ২২ থেকে ৬৫ বছর।
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, ‘আইপিডিসি বিশ্বাস করে, শিক্ষকেরাই একটি অগ্রসর ও আলোকিত সমাজ গঠনের প্রকৃত নির্মাতা। সে জন্য এমন একটি অর্থনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে আমরা তাঁদের দীর্ঘদিনের অবদানকে সম্মান জানাতে চাই, যা তাঁদের প্রয়োজন ও বাস্তবতা অনুযায়ী বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। যাঁরা প্রতিদিন জাতি গঠনের কাজে নিবেদিত, তাঁদের এই সামান্য শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে পেরে আমরা গর্বিত ও আনন্দিত।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ক ষকদ র আইপ ড স আর থ ক ঋণস ব
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।