কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস-২০২৫।

বুধবার (৩০ জুলাই) কুয়েতের মিসিলাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।

দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা (ডিফেন্স এটাচে) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাকিবুল করিম, মিনিস্টার (শ্রম) আবুল হোসেন, ভিসা ও পাসপোর্ট বিভাগের কাউন্সেলর মোহাম্মদ ইকবাল আকতার, তৃতীয় সচিব আবদুল লতিফ ফকির, সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি লুৎফর রহমানসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। এরপর ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার চিত্র প্রদর্শনী করা হয়।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “প্রবাসী বাংলাদেশিরা একটি নীরব সংগ্রাম করে যাচ্ছে সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের জন্য।” তিনি আরো যোগ করেন, “আমরা চাই একটি প্রগতিশীল, সহনশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।”

শেষে জুলাই-আগস্টের নৃশংসতায় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন

তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের। 

দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত। 

আরো পড়ুন:

রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন

টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়

প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।

তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।

গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে। 

সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। 

ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে। 

২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ